সংবাদ সংস্থা, ০৮ সেপ্টেম্বর :- পাইলটের কর্তব্যের সময় পারফিউম ব্যবহার না করার পেছনে রয়েছে গোপন রহস্য! ককপিট একটি অত্যন্ত ছোট এবং আবদ্ধ জায়গা, যেখানে পাইলট ও সহকারী পাইলটকে দীর্ঘ সময় ধরে একসঙ্গে কাজ করতে হয়। একজন পাইলটের ব্যবহৃত সুগন্ধি অন্যজনের জন্য অস্বস্তির কারণ হতে পারে, যা তাদের মনোনিবেশে ব্যাঘাত ঘটায়।
বিমান চালকদের জীবন এবং পেশাদারিত্ব নিয়ে সাধারণ মানুষের প্রচুর কৌতূহল থাকে। তাদের পেশার জীবনে কিছু অলিখিত নিয়ম রয়েছে, যা অনেকের কাছে অদ্ভুত মনে হতে পারে। তেমনই একটি নিয়ম হলো উড়ানের আগে গায়ে বা পোশাকে কোনও সুগন্ধি ব্যবহার না করা। আপাতদৃষ্টিতে এটি একটি সাধারণ বিষয় মনে হলেও, এর পেছনের কারণটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সরাসরি নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত। সম্প্রতি একজন বিমান বিশেষজ্ঞ এই রহস্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, পাইলটদের সুগন্ধি পরিহার করার প্রধান কারণ হলো ককপিটের ভেতরে সম্ভাব্য বিপজ্জনক গন্ধ শনাক্ত করার ক্ষমতা বজায় রাখা। উড়ানের সময় ককপিটে কোনো ধরনের ধোঁয়া, বৈদ্যুতিক তার পুড়ে যাওয়া বা অন্য কোনো রাসায়নিক গন্ধ তৈরি হলে তা দ্রুত শনাক্ত করা অত্যন্ত জরুরি। এই ধরনের গন্ধ একটি বড়সড় বিপদের ইঙ্গিত হতে পারে। যদি একজন পাইলট বা সহকারী পাইলট কড়া সুগন্ধি ব্যবহার করেন, তবে সেই সুগন্ধি জরুরি অবস্থার এই সতর্কতামূলক গন্ধকে ঢেকে দিতে পারে, যা মারাত্মক দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।
এছাড়াও, ককপিট একটি অত্যন্ত ছোট এবং আবদ্ধ জায়গা, যেখানে পাইলট ও সহকারী পাইলটকে দীর্ঘ সময় ধরে একসঙ্গে কাজ করতে হয়। একজন পাইলটের ব্যবহৃত সুগন্ধি অন্যজনের জন্য অস্বস্তির কারণ হতে পারে, যা তাদের মনোনিবেশে ব্যাঘাত ঘটায়।
অনেক পাইলট বা ক্রু সদস্যের অ্যালার্জি, অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকে, যা কোনো কড়া সুগন্ধির কারণে বেড়ে যেতে পারে। এটি তাদের স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং জরুরি মুহূর্তে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাকে ব্যাহত করতে পারে। সবশেষে, এটি পেশাদারিত্বের একটি অংশ। প্রতিটি পাইলটকে নিশ্চিত করতে হয় যেন তাদের ব্যক্তিগত কোনো অভ্যাস অন্যজনের পেশাদার আচরণে বা কাজে বাধা না দেয়। সুতরাং, সুগন্ধি পরিহার করা কোনো ব্যক্তিগত পছন্দ নয়, বরং একটি কঠোর নিরাপত্তা প্রোটোকল, যা যাত্রী এবং ক্রু সদস্যদের জীবন রক্ষার জন্য সারা বিশ্বে কঠোরভাবে মেনে চলা হয়।