ছাব্বিশের ভোটের আগেই বাংলার রাজনৈতিক ছক কষা শুরু, ভাঙন দেখা গেলো বিরোধী শিবিরে

যুব বিচিত্রা প্রতিনিধি, কলকাতা ১৬ জুলাই :- বাংলায় সমাগত বিধানসভা নির্বাচন।ঘর গোছাতে ব্যস্ত রাজনৈতিক দল সংগঠন। পালা বদল যেন একটা ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে দেশের রাজনৈতিক মহলে। নির্বাচন আসলেই পালা বদলের হিড়িক। বাংলা য় শতাধিক বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা যোগদান করেন শাসক দলের দায়িত্বে থাকা তৃণমূল কংগ্রেসে।ঘাসফুল এবার ২৬ র আগেই নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত। একুশে জুলাইয়ের সমর্থনে প্রস্তুতির সভাতেই প্রকাশ্যে দলবদল। প্রস্তুতির সভার শেষেই সাগর বিধানসভার মোট শতাধিক কর্মী, সমর্থক শিবির বদল করে যোগদান করলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। বিরোধী শিবিরে বড়সড়ই ভাঙন। বিজেপি, সিপিআইএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করলেন শতাধিক কর্মী। ছাব্বিশের দামামা একপ্রকার বেজেই গিয়েছে। ছাব্বিশে বিধানসভা নির্বাচনের (West Bengal Assembly Election 2026) আগে ইতিমধ্যেই নিজেদের ঘর গুছিয়ে নিতে শুরু করে দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। বিরোধী শিবিরে একের পর এক ভাঙন! বিজেপি (BJP) মন্ডল সভাপতি-সহ সিপিআইএমের (CPIM) শতাধিক কর্মী, সমর্থক বিরোধী শিবির ছেড়ে যোগদান করলেন তৃণমূলে (TMC)। গঙ্গাসাগরের ধসপাড়া সুমতি নগর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহেন্দ্রগঞ্জ বাজারে একুশে জুলাইয়ের সমর্থনে একটি প্রস্তুতির সভার আয়োজন করা হয়। ওই প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত ছিলেন মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ বাপি হালদার। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের একাধিক শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্বরা। সেই প্রস্তুতির সভার শেষেই সাগর বিধানসভার মোট শতাধিক বিজেপি ও সিপিআইএমের কর্মী, সমর্থক তৃণমূলে যোগদান করেন। বিরোধী দলের থেকে ঘাসফুলে যোগ দেওয়া কর্মী, সমর্থকদের হাতে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় পতাকা তুলে দেন মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ বাপি হালদার ও সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা। দলের পতাকা দিয়ে বরণ করে নেন নবাগতদর।

এ বিষয়ে মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ বাপি হালদার বলেন, বিরোধীরা তাঁদের নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। এলাকায় উন্নয়ন করার জন্য এবং মা মাটি মানুষের সরকারের হাত শক্ত করার জন্য তাঁরা তৃণমূলে যোগদান করেছেন। এই বিষয়ে বিরোধী দল থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া এক কর্মী বলেন, “এলাকায় উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্যই আমরা প্রায় শতাধিক বিজেপি ও সিপিআইএম কর্মী সমর্থক বিরোধী দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছি। রাজ্য সরকারের যে উন্নয়নের ধারা, তা রাজ্যের প্রতিটি মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্যই আমরা ঘাসফুল শিবিরে যোগদান করতে বাধ্য হয়েছি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা কি বলছে এব্যাপারে: আদৌও কি পালা বদলের পিছনে রাজনৈতিক কোনো ষড়যন্ত্র কাজ করছে? নাকি সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রকৃত দেশপ্রেমিক নিজ অনুভূতিতে বাড়ি ফিরছে এনিয়ে ধোঁয়াশা।