সংবাদ সংস্থা, ঢাকা, ০৮ সেপ্টেম্বর :- বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের ন-কৌশল! শারদীয়া দুর্গোৎসবে ধর্ম রক্ষায় মুখ বাঁচাতে ইউনুস সরকারের বড়ো আপডেট :-
শোনা যাচ্ছে দুর্গোৎসবকে ঘিরে সম্ভাব্য সমস্ত রকম অশান্তি ঠেকাতে ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ১৮ দফা নির্দেশিকা জারি করেছে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে এই দুর্গাপুজো অ্যাসিড টেস্ট হতে চলেছে ইউনূস প্রশাসনের সামনে।
হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপুজো। শুরু হতে চলেছে চলতি মাসের শেষেই। এদিকে বদলের বাংলাদেশে বার বারই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচারের অভিযোগ সামনে এসেছে। কালীমন্দির, মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। গতবার দুর্গাপুজোয় ঝামেলা হয়েছে। ইউনূসের বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর রেকর্ডসংখ্যক আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ইতিমধ্যে। এই পরিস্থিতিতে দুর্গোৎসবকে ঘিরে সম্ভাব্য সমস্ত রকম অশান্তি ঠেকাতে ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ১৮ দফা নির্দেশিকা জারি করছে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সাম্প্রতিক অস্থিরতা, শ্রমিক আন্দোলন ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পরিস্থিতি নিয়ে কঠোর অবস্থানের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্দেশিকার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্ব পাচ্ছে পুজোমণ্ডপে পুলিস–র্যাব–আনসার ও ভিডিপির টহল জোরদার করা। প্রতিটি মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা ও স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন করা। যেকোনও ধরনের গুজব রোধে সামাজিক মাধ্যমে নজরদারি জোরদার করা। সেইসঙ্গে প্রতিমা বিসর্জনের সময় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা। নারী দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় আলাদা ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ইভটিজিং প্রতিরোধেও কঠোর পদক্ষেপ করার কথা বলা হয়েছে নির্দেশিকায়। এমনটাই জানা যাচ্ছে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে। এছাড়া আতসবাজি ও পটকা ফাটানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। প্রতিমা বিসর্জনস্থলে আলো, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ও ডুবুরি দলের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হচ্ছে। দুর্গম এলাকায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে রাস্তাও মেরামত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
প্রসঙ্গত, এই দুর্গাপুজো শুধু উৎসব নয়, বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে অ্যাসিড টেস্ট হতে চলেছে ইউনূস প্রশাসনের সামনে। হাসিনার পদত্যাগের পর থেকে ইউনূসের বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর যে সংখ্যক অত্যাচারের ঘটনা সামনে এসেছে, তাতে নির্বাচনে জিততে এই দুর্গাপুজো যে ইউনূসের সামনে এখন মুখ বাঁচানোর লড়াই, তা বলাই বাহুল্য। তবে লক্ষণীয় হলো ১৮ দফার নির্দেশিকা আদৌও কি সুরক্ষা দেবে বাংলাদেশে বসবাসরত হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ কে?
