বরাক উপত্যকায় উন্নয়নের গতি বাড়াতে তৎপর রাজ্য সরকার; শিলচরে পরিকাঠামো প্রকল্পে জোরদার পর্যালোচনা সভা

জনসংযোগ শিলচর, ২২ আগস্ট :- অসম সরকারের সচিব আদিল খান নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক, মিনি সেক্রেটারিয়েট, স্পোর্টস স্টেডিয়াম, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ও রাস্তাঘাট প্রকল্পে সময়মতো বাস্তবায়নে নির্দেশ!

উল্লেখ্য, বরাক উপত্যকায় পরিকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে গতি আনতে রাজ্য সরকারের তরফে জোরদার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনের নবনির্মিত সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের পর্যালোচনা সভায় আসাম সরকারের সচিব (সেচ, আবগারি, বরাক ভ্যালি উন্নয়ন ও আসাম রিস্যালেন্ট রুরাল ব্রিজ প্রোগ্রাম ) আদিল খান, (আইএএস), একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের অগ্রগতি খতিয়ে দেখেন এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন কাছাড়ের জেলা আয়ুক্ত মৃদুল যাদব, (আইএএস) শ্রীভূমির জেলা আয়ুক্ত প্রদীপ কুমার দ্বিবেদী, (আইএএস) হাইলাকান্দির জেলা আয়ুক্ত, অভিষেক জৈন, আইএএস; কাছাড় জেলার উন্নয়ন আয়ুক্ত নরসিং বে, এ সি এস; এবং অতিরিক্ত জেলা আয়ুক্ত, ড. খালেদা সুলতানা আহমেদ সহ বিভিন্ন বিভাগের শীর্ষকর্তারা।

আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব পায় শিলচরের মিনি সেক্রেটারিয়েট নির্মাণ, কাছাড় জেলা স্টেডিয়ামের উন্নয়ন, শিলচরের সিংকিং জোনে প্রস্তাবিত এলিভেটেড করিডর, হাইলাকান্দিতে নতুন ডিটিও অফিস, আসম মালা ১.০ ও ২.০ প্রকল্পের অগ্রগতি, ডলু চা বাগান থেকে উচ্ছেদ হওয়া পরিবারগুলির পুনর্বাসন এবং শিলচরে ৫০০ বেডের আধুনিক সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের নির্মাণ।

সচিব আদিল খান সভায় স্পষ্ট জানিয়ে দেন “প্রতিটি প্রকল্প শুধু ইট-পাথরের কাঠামো নয়, এগুলি বরাক উপত্যকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নের অঙ্গীকার। সময়মতো সম্পন্ন না হলে উন্নয়নের পথে বড় বাধা সৃষ্টি হবে।” তিনি জেলা পর্যায়ে কঠোর মনিটরিং, গুণগত মান বজায় রাখা এবং নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প শেষ করার নির্দেশ দেন।

এদিন আসাম সরকারের সড়ক ও গ্রামীণ সেতু প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়েও বিশেষ পর্যালোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আরসিসি ব্রিজ নির্মাণসহ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ও সেতু সংযোগ প্রকল্পের ত্বরান্বিত বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন সচিব। আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন বরাক উপত্যকা ও দিমা হাসাও জেলার লোকনির্মান সড়ক বিভাগের শীর্ষকর্তারা।

সভার শেষে সচিব বলেন, “আমরা আজ যে প্রকল্পগুলি পর্যালোচনা করছি, এগুলি বরাক উপত্যকার ভবিষ্যতের বিনিয়োগ। যাতে জনগণ দ্রুত এর সুফল পায়, সে জন্য নিয়মিত ফলো-আপ হবে”।

এদিকে, শুক্রবার সচিব আদিল খান, কাছাড়ের জেলা আয়ুক্ত মৃদুল যাদব এবং অন্যান্য শীর্ষকর্তাদের নিয়ে শিলচরের জেলা গ্রন্থাগারের নির্মীয়মাণ ভবনও পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, “নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প শেষ করা এবং গুণমান বজায় রাখা হবে আমাদের প্রধান লক্ষ্য। গ্রন্থাগারটি সম্পূর্ণ হলে শিলচর ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ছাত্রছাত্রী, গবেষক এবং সাধারণ পাঠকদের জন্য আধুনিক জ্ঞানভাণ্ডার হিসেবে গড়ে উঠবে”।