সংবাদ সংস্থা, ১৫ আগস্ট :- ভারতের ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় ইতিহাস লিখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী! শুক্রবার ১০৩ মিনিটের ভাষণ দিলেন তিনি। একাই সব রেকর্ড ভেঙে গুঁড়িয়ে দিলেন নমো,ভারতের ইতিহাসে প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘতম ভাষণে লেখা হল তাঁরই নাম। মোদী গত বছর ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসে ৯৮ মিনিটের ভাষণ দিয়ে রেকর্ড করেছিলেন, এদিন নিজের রেকর্ড নিজে ভেঙে তৈরি করলেন নতুন রেকর্ড। ২০২৪ সালের

আগে মোদীর দীর্ঘতম স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ ছিল ২০১৬ সালে। সেবার ৯৬ মিনিটের ভাষণ দিয়েছিলেন। আবার তাঁর ক্ষুদ্রতম ভাষণ ছিল ২০১৭ সালে। সেবার ৫৬ মিনিট বক্তৃতা দিয়েছিলেন। টানা ১২ বার স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ দিয়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর রেকর্ড ভেঙে দিলেন মোদী। ইন্দিরা ১১ বার স্বাধনীতা দিবসের ভাষণ দিয়েছিলেন। শীর্ষে রয়েছেন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু। পরপর ১৭ বার স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ

দেওয়ার রেকর্ড রয়েছে তাঁর। মোদী ২০১৪ সালে তাঁর প্রথম স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ দিয়েছিলেন, যার মেয়াদ ছিল ৬৫ মিনিট। তার পরের বছর মোদী ৮৮ মিনিট ভাষণ দেন। ২০১৮ সালে মোদী ৮৩ মিনিটের ভাষণ দিয়েছিলেন। ২০১৯ সালে, তিনি প্রায় ৯২ মিনিটের বক্তব্য রেখেছিলেন। তারপরের বছর যা ছিল ৯০ মিনিটের। ২০২১ সালে মোদীর স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ ছিল ৮৮ মিনিটের। ২০২২ সালে যা কমে ৭৪ মিনিট হয়। ২০২৩ সালে আবার ৯০

মিনিটের বক্তব্য রেখেছিলেন মোদী। মোদীর আগে ১৯৪৭ সালে নেহেরু এবং ১৯৯৭ সালে আই কে গুজরাল যথাক্রমে ৭২ এবং ৭১ মিনিটের দীর্ঘতম বক্তৃতা দিয়েছিলেন। নেহেরু সালে ১৯৫৪ এবং ইন্দিরা ১৯৬৬ সালে ১৪ মিনিটের বক্তৃতা দিয়েছিলেন। রেকর্ড বলছে যা ক্ষুদ্রতম স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং অটল বিহারী বাজপেয়ীরও স্বাধীনতা দিবসে ছোট বক্তব্য রাখার নজির রয়েছে। ২০১২ এবং ২০১৩ সালে

মনমোহন মাত্র ৩২ এবং ৩৫ মিনিটের ভাষণ দিয়েছিলেন। ২০০২ এবং ২০০৩ সালে অটল বিহারীর বক্তৃতাগুলি আরও ছোট ছিল। যার মেয়াদ ছিল ২৫ এবং ৩০ মিনিটের। মোট কথা অদ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে শুধু দেশ নয় চমক সৃষ্টি করেছে বিশ্বের দরবারে তা সহজেই অনুমেয়।
