সংবাদ সংস্থা, ২৪ জুলাই :- দীর্ঘ সময় ধরেই দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে নানাবিধ বিষয়ে সমস্যা চলছেই। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া রিলায়েন্স কমিউনিকেশন এবং এর প্রোমোটার-ডিরেক্টর অনিল আম্বানিকে ‘প্রতারক’ ঘোষণা করার পরপরই অভিযান শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ঋণ কেলেঙ্কারি মামলায় অনিল আম্বানি (Anil Ambani) গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ৩৫টি স্থানে হানা ইডির। অনিল আম্বানি-নেতৃত্বাধীন রিলায়েন্স অনিল ধীরুভাই গোষ্ঠীর সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে ঋণ জালিয়াতির তদন্তে বৃহস্পতিবার সকালে প্রায় ৩৫টি স্থানে হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED), এমনটাই জানিয়েছেন ঘটনার সঙ্গে যুক্ত একাধিক সূত্র। দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআইয়ের দায়ের করা একাধিক এফআইআরের ভিত্তিতে ‘মানি লন্ডারিং’ মামলায় এই অভিযান চালানো হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। সম্প্রতি স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (SBI) রিলায়েন্স কমিউনিকেশনস (RCom) এবং এর প্রোমোটার অনিল আম্বানিকে ‘প্রতারক’ (fraud) বলে ঘোষণা করেছে। RCom ও এর সহযোগী সংস্থাগুলি মিলে বিপূল পরিমাণে ঋণ নেয়, যার মধ্যে তহবিল ব্যবহারে ‘বিচ্যুতি’ ধরা পড়েছে। রিলায়েন্স কমিউনিকেশনস এবং তার প্রোমোটার ডিরেক্টর অনিল ডি আম্বানিকে ‘ফ্রড’ হিসাবে উল্লেখ করলো স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। এই ঘটনা নিয়ে এবার সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক। সোমবার সংসদে এই তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্র। ইডি সূত্রে খবর, 2017 থেকে 2019 সালের মধ্যে ইয়েস ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় 3000 কোটি টাকার ঋণ অবৈধভাবে স্থানান্তরের অভিযোগ উঠেছে ৷ ইডি জানতে পেরেছে যে, ঋণ মঞ্জুর হওয়ার আগেই ইয়েস ব্যাঙ্কের সঙ্গে নানাভাবে জড়িত ব্যক্তিদের কাছে এই টাকা পৌঁছে গিয়েছিল ৷ যারা ঘুষ দিয়ে লোন পেয়েছে, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে তদন্তকারী সংস্থা।
এদিকে ডিসেম্বর ২০২৩, মার্চ ২০২৪ এবং সেপ্টেম্বর ২০২৪— এই তিনটি সময়ে SBI রিলায়েন্স কমিউনিকেশনসের কাছে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছিল। কোম্পানির পক্ষ থেকে প্রাপ্ত জবাব পরীক্ষা করে ব্যাংক জানায় যে ঋণের শর্তাবলী যথাযথভাবে মানা হয়নি। সেই সঙ্গে ঋণ-অ্যাকাউন্টের লেনদেনে বহু বিসঙ্গতি ধরা পড়েছে।এর মধ্যেই অনিল আম্বানির সংস্থার তরফে স্পষ্ট বার্তা, ইডির তল্লাশির রিলায়েন্স পাওয়ারের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই।
মিডিয়ার প্রতিবেদনগুলো মূলত রিলায়েন্স কমিউনিকেশনস লিমিটেড (আরকম) বা রিলায়েন্স হোম ফাইন্যান্স লিমিটেড (আরএইচএফএল)-এর লেনদেন সংক্রান্ত পুরনো, প্রায় ১০ বছরেরও বেশি পুরনো, অভিযোগের ভিত্তিতে তৈরি বলে দাবি সংস্থার। সংস্থা আরও জানিয়েছে, “রিলায়েন্স পাওয়ার একটি সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র এবং স্বাধীনভাবে তালিকাভুক্ত সংস্থা, যার এরকম বা আরএইচএফএল-এর সঙ্গে কোনও ব্যবসায়িক বা আর্থিক সংযোগ নেই। রিলায়েন্স কমিউনিকেশনস (আরকম) গত ৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে ‘ইনসোলভেন্সি অ্যান্ড ব্যাংকরাপ্সি কোড, ২০১৬’-র আওতায় কর্পোরেট দেউলিয়া পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে।”
মোট কথা সাধারণ মানুষ ১লাখ টাকা ঋণ পরিশোধ করতে না পারলে কত ধরণের হুমকি র মুখে পড়তে হয় তা সেই বুঝে! তবে এধরণের বৃহৎ ব্যবসায়ী সংস্থা গুলো জনতার টাকায় লুন্ঠন চালায় তবে কি তারা শাস্তির আওতায় আসবে না?? তাদের টাকা কি রিকভারি হবে না? প্রশ্ন সচেতন নাগরিক সহ গ্রাহকদের!