যুব বিচিত্রা প্রতিনিধি, কলকাতা ২৪ জুলাই :- লক্ষী বারে যমদূতের হানা! বজ্রপাত প্রাণ কেড়ে নিল বাংলার বহু লোকের। বৃহস্পতিবার বজ্রপাতে বাঁকুড়ায় মৃতের সংখ্যা ৭। জেনে নিন কোন জেলায় কোন ব্লকে মোট কত জনের মৃত্যু হল। কোতুলপুর ব্লকের খিরি গ্রামে বজ্রপাতে মৃত ১ ( জিয়াউল হক মোল্লা), আহত ১ ( আসপিয়া মোল্লা)। জয়পুর ব্লকের খড়িকাশুলি গ্রামে বজ্রপাতে মৃত এক ( উত্তম ভুঁইয়া)। ইন্দাস ব্লকের বাঙালচক গ্রামে বজ্রপাতে মৃত এক ( ইসমাইল মন্ডল)। পাত্রসায়ের ব্লকের কাঁটাবন উদয় পল্লীতে বজ্রপাতে মৃত এক ( জীবন ঘোষ)। ওন্দা ব্লকে বজ্রপাতে মৃত ৩ রামকৃষ্ণপুর গ্রামে – তিলকা মাল, ভাদুলডাঙ্গা গ্রামে জবা বাউরী, কামারকাটা গ্রামে – নারায়ন সর বৃহস্পতিবার বাজে ২ জনের মৃত্যু হল। পূর্ব বর্ধমানের মাধবডিহির পাশাপাশি আউশগ্রামে একজনের বাজে মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম সঞ্জয় হেব্ররম ( ২৮)। বাড়ি আউশগ্রাম থানার ভেদিয়া গ্রামে। সঞ্জয় আউশগ্রাম থানার গুসকরা
২ নম্বর পঞ্চায়েতের দেয়াশা গ্রামের মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে মারা যান। সঞ্জয় ভাতার থানার অন্তর্গত রাধামোহনপুর আদিবাসীপাড়ায় মামার বাড়িতে গিয়েছিলো মামার জমি চাষের কাজ করার জন্য। বৃহস্পতিবার জমিতে ধান রোয়ার কাজ করার সময় বৃষ্টি শুরু হয়। তবে পূর্ব বর্ধমান জেলায় বৃহস্পতিবার বাজে মৃত হল ৫ জনের। সনাতন পাত্র ও রবীন টুডু ছাড়াও আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। অভিজিৎ সাঁতরা (২৫)। বাড়ি রায়না ১ নম্বর ব্লকের তেন্ডুল গ্রামে। জমিতে চাষ করার সময় বাজ পড়ে। অন্য আর একজন বুড়ো মাড্ডি (৬৪)। বাড়ি মঙ্গলকোটের চানক কৃষ্ণপুরে। মাঠে ধান রোয়ার কাজ করার সময় বজ্রপাতে মৃত্যু হয় তাঁর। আর মারা যান পরিমল দাস (৩২)। বাড়ি খণ্ডঘোষের শেরপুরে। পরিমল ধান রোয়ার কাজ করতে গিয়েছিলেন মাধবডিহি থানার মাঠে। এরই মধ্যে বাজে মৃত্যু হয় সঞ্জয়ের। বাংলার বেশকটি জেলায় মৃত্যু মিছিল। কম করে ও ১৫ জনের কাছাকাছি মৃত্যুর খবর এসেছে বাংলার বিভিন্ন জেলা থেকে। এব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগিতা র দাবী জানায় বিভিন্ন দল সংগঠন বিরোধী শিবির সহ সচেতন নাগরিক।