ধর্মনগর সরকারি কলেজের প্রশাসনিক এবং শৈক্ষিক পরিবেশ নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন! ব্যর্থতার গন্ধ কলেজ কর্তৃপক্ষের
রমেন্দ্র গোস্বামী, ধর্মনগর ২৪ জুলাই :- ধর্মনগর ডিগ্রি কলেজে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বিশৃঙ্খল ঘটনার পর উত্তেজনা এখনও প্রশমিত হয়নি। এই প্রেক্ষিতে উত্তর ত্রিপুরা জেলার পুলিশ সুপার অভিনাশ রাই-এর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি) প্রতিনিধি দল ও কলেজের উকিল। বৈঠকে পুলিশ সুপার স্পষ্ট আশ্বাস দেন, কলেজে হামলা চালানো তিন বহিরাগত দুষ্কৃতিকারীকে আগামী চার দিনের মধ্যেই গ্রেপ্তার করা হবে। তিনি আরও জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং তদন্তের কাজে কোনো গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না।

উল্লেখ্য, বৈঠকের আগে কলেজ চত্বরে উত্তেজনা চরমে পৌঁছালে এবিভিপি-র পক্ষ থেকে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। সেই অবরোধস্থলেই পুলিশ সুপার স্বয়ং উপস্থিত হয়ে ছাত্রছাত্রীদের সামনে কথা দেন, “দোষীদের ছাড় দেওয়া হবে না। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।” এই প্রসঙ্গে এবিভিপি-র জেলা সঞ্চালক অখিল দেব স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন,
“যদি আগামী চার দিনের মধ্যে দুষ্কৃতিদের গ্রেফতার না করা হয়, তাহলে এবিভিপি বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামবে এবং জাতীয় সড়ক অবরোধ করে তীব্র বিক্ষোভ দেখাবে।”ঘটনাকে কেন্দ্র করে কলেজ চত্বর ও ধর্মনগর শহরে নতুন করে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এখন সকলের নজর পুলিশের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে।

অন্যদিকে, উক্ত সরকারি ডিগ্রি কলেজ রীতিমতো সংবাদ শিরোনাম দখল করে সুনাম মুছে বদনামের পাহাড় বাঁধলেও যেন টনক নড়ে নি রাজ্যের শিক্ষা বিভাগ সহ ঊধর্তন মহলের।পরপর জঘন্যতম ঘটনা প্রতিবাদ বিক্ষোভ কর্মসূচি,লাগাম টানতে ব্যর্থ কেন কর্তৃপক্ষ? প্রশ্ন সচেতন নাগরিকের! তবে এইবারের ঘটনার কতটুকু সত্যতা রয়েছে তাঁর নিরপেক্ষ তদন্ত এবং সুবিচার আশা করে বিরোধী শিবির। এতোসব কাণ্ডে তোলপাড় হলেও নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় কলেজ প্রশাসন।