গ্যামন সেতুর উদ্বোধন উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন :- মন্ত্রীদ্বয়ের কণ্ঠে মুখ্যমন্ত্রীর দূরদর্শিতা, জনগণের ধৈর্য ও সরকারের সুরক্ষা উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা

জনসংযোগ শিলচর, ১৫ জুলাই :- বদরপুর ঘাটে বরাক নদীর তীরে মঙ্গলবার ,ঐতিহাসিক গ্যামন সেতুর পূর্ণ মেরামত শেষে পুনরায় উদ্বোধন অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে সম্পন্ন হলো। নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই সেতুর কাজ শেষ করে এই গুরুত্বপূর্ণ সংযোগপথটি পুনরায় জনগণের জন্য উন্মুক্ত করা হলো।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রাজ্যের খাদ্য, গণবণ্টন, ভোক্তা সুরক্ষা ও বরাক উপত্যকা উন্নয়ন মন্ত্রী কৌশিক রায় বলেন, “এই সেতু কেবল একটি লোহার কাঠামো নয়, এটি বরাক উপত্যকার প্রাণ স্বরূপ। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মার দূরদর্শী নেতৃত্ব ও অদম্য ইচ্ছাশক্তির ফলে অসম্ভবকে সম্ভব করা সম্ভব হয়েছে। সঠিক সময়ে পদক্ষেপ, মানসম্মত কাজ এবং তদারকির এই মডেলই আমাদের সরকারের পরিচয়।”

তিনি সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশে আরও বলেন, “মেরামতের সময় বরাকবাসী যে ধৈর্য, সহমর্মিতা ও সরকারের প্রতি বিশ্বাস প্রদর্শন করেছেন, তা প্রশংসনীয়। এই সহযোগিতাই আমাদের এই সাফল্য এনে দিয়েছে।”

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত রাজ্যের লোক নির্মান বিভাগ (পথ ), পশুপালন ও মৎস্য দপ্তরের মাননীয় মন্ত্রী শ্রী কৃষ্ণেন্দু পাল বলেন, “মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী যা প্রতিশ্রুতি দেন, তা তিনি পালন করেন। এই সেতুর দ্রুত ও সুরক্ষিত মেরামত তারই উজ্জ্বল প্রমাণ। এই প্রকল্পে মুখ্যমন্ত্রী মহাশয়ের অগ্রাধিকার, প্রকৌশলী, শ্রমিক ও প্রশাসনের কঠোর পরিশ্রম এবং জনগণের ধৈর্য এক অনন্য নজির স্থাপন করেছে।”

সেতু পুনরায় চালু হওয়ায় বরাক নদীর উপর দিয়ে যাতায়াতকারী হাজার হাজার যাত্রী ও পরিবহন ব্যবসায়ীর স্বস্তি ফিরেছে। বাণিজ্য, পরিবহন ও দৈনন্দিন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধমনী আবার সচল হলো।

উল্লেখ্য ,মঙ্গলবার সেতুর সুরক্ষা ও স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে কাছাড় জেলা প্রশাসন একটি নির্দেশ জারি করে জানায়, আগামী ১৯ জুলাই থেকে সেতুর উপর ৪০ টনের বেশি ওজনের এবং অবৈধভাবে পরিবর্তিত যানবাহনের চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে। প্রশাসন স্পষ্ট করেছে যে, জনগণের সুরক্ষা ও পরিকাঠামো রক্ষার জন্য এই নির্দেশ কার্যকর করা হচ্ছে এবং তা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

এই নির্দেশ কার্যকর করতে দিগরখাল (NH-06) এবং ডলু (NH-27)–তে যৌথ চেকপোস্ট স্থাপন করা হবে। পুলিশ, পরিবহন দপ্তর ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সমন্বয়ে এই চেকপোস্টগুলি ২৪ ঘণ্টা নজরদারির অধীনে থাকবে।

কাছাড়ের জেলা আয়ুক্ত, শ্রী মৃদুল যাদব, আইএএস, অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রকল্পে যুক্ত সকল দলের কঠোর পরিশ্রমের প্রশংসা করেন এবং জনগণের নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কাছাড়ের সিনিয়র পুলিশ সুপার শ্রী নোমাল মাহাত্তা, এপিএস, এনএইচআইডিসিএল–এর জেনারেল ম্যানেজার শ্রী গৌরাঙ্গ দেওঘরে, জেলা বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সিইও ও অতিরিক্ত অতিরিক্ত জেলাশাসক শ্রী রক্তিম বড়ুয়া এবং সহকারী আয়ুক্ত তথা ভারপ্রাপ্ত উপ- সঞ্চালক, বরাক উপত্যকার তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগের আঞ্চলিক কার্য্যালয় শিলচর, শ্রীমতী দীপা দাস, এ সি এস প্রমুখ।