বর্ষাকালে ট্রেন চলাচলে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে তৎপর উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেল

জনসংযোগ মালিগাঁও, ৮ জুলাই :- বর্ষা মৌসুমে নিরাপদ এবং নিরবচ্ছিন্ন ট্রেন চলাচল নিশ্চিত করার জন্য উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওযে (এনএফআর) একাধিক কৌশলগত প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ভারী বৃষ্টিপাত, ভূমিধস এবং বন্যার ঝুঁকির কারণে, রেল লাইনের পরিস্থিতি ক্রমাগত পর্যবেক্ষণ করতে এবং কোনও বিপদ শনাক্ত হলে তাৎক্ষণিক সতর্কতা অবলম্বন করতে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে কৌশলগতভাবে স্বায়ী ওয়াচম্যান মোতায়েন করা হয়েছে। বাঁধ শক্তিশালীকরণ, উন্নত নিষ্কাশন ব্যবস্থা এবং প্রাকৃতিক জলপ্রবাহের চ্যানেল পরিষ্কারের মাধ্যমে ধ্বস-প্রবণ এবং বন্যা-সংবেদনশীল অঞ্চলগুলিকে শক্তিশালী করা হয়েছে। এছাড়াও, গুরুত্বপূর্ণ স্থানে, বিশেষ করে পাহাড়ি অংশে, জলন্তর পরিমাপক যন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে, যাতে জলস্তর বৃদ্ধির মাত্রা রিয়েল-টাইমে পর্যবেক্ষণ করা যায়।

জরুরি অবস্থার সময় দ্রুত সাড়া প্রদানের জন্য, উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওযে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পাথর, বালির বস্তা এবং তারের জালের মতো ত্রাণ সামগ্রী মোতায়েন করেছে। ‘ইমার্জেন্সি অন হুইলস ট্রেনগুলি সম্পূর্ণরূপে সহিত এবং যে কোনো পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেওয়ার জন্য কারিগরি কর্মী এবং প্রয়োজনীয় সরজ্ঞাম সহ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ভূমিধ্বস, রেলপথে ধ্বস এবং জল জমার মতো ঘটনাগুলি ন্যূনতম সময়ে মোকাবেলা করার জন্য সমস্ত ডিভিশনে র‍্যাপিড রেসপন্স টীমও গঠন করা হয়েছে। যাত্রী এবং মালবাহী পরিষেবায় ব্যাঘাত কমিয়ে দ্রুত ভাবে ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য এই টীমগুলিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে রিয়েল-টাইম আবহাওয়ার সতর্কতা এবং পূর্বাভাস পেতে ইন্ডিয়া মেটেরোলোজিকাল ডিপার্টমেন্ট (আইএমডি) সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। এই সমন্বয় রেলওয়ে নিয়ন্ত্রণ কক্ষগুলিকে, যা ২৪X৭ চালু থাকে, ট্রেন চলাচল এবং কর্মী মোতায়েনের বিষয়ে সক্রিয় সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে। যাত্রীদের অফিসিয়াল যোগাযোগ ব্যবস্থাগুলির মাধ্যমে খবর সংগ্রহ করার এবং রেল কর্তৃপক্ষের সাথে সহযোগিতা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে, উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে বর্ষাকাল জুড়ে নিরাপত্তা, পরিচালন দক্ষতা এবং যাত্রীদের সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

সবমিলিয়ে উত্তর পূর্ব রেলের তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ। তবে আশঙ্কায় বদরপুর – লামডিং রোডের পরপর ধ্বস । ব্যাহত হচ্ছে নিত্য চলাচলের রেল গুলো। বরাক উপত্যকার একমাত্র ভরসা উত্তর পূর্ব রেল। কিন্তু প্রতি বছর মে-জুন-জুলাই তিনটি মাস যেন বরাক উপত্যকা সমুদ্রের দ্বীপে পরিণত হয়। বন্ধ হয় রেলপথ – সড়কপথ, মূল্যবৃদ্ধি হয় বিমান সংস্থার। যার ফলস্বরূপ বরাক উপত্যকার মানুষের দূর্ভোগ চরমে পৌঁছে। বরাক উপত্যকার যোগাযোগ ব্যবস্থা সচ্ছল রাখতে কেন্দ্র সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বরাকের শুভ বুদ্ধিজীবী মানুষ।