বরাকে ট্রেডিং কেলেঙ্কারির মামলায় অভিযুক্ত বেশকজন আজ ও মুক্তাঞ্চলে, শীঘ্রই খবর যাচ্ছে ঊধর্তন মহলে

ফের ট্রেডিং কেলেঙ্কারি তে জড়িত পলাতক মাস্টারমাইন্ড রা শীঘ্রই গ্রেপ্তার হচ্ছে,বললো স্থানীয় পুলিশ

যুব বিচিত্রা প্রতিনিধি,শ্রীভূমি ২০জুন: রাজ্য কাঁপানো অনলাইন ট্রেডিং কেলেঙ্কারি নিয়ে ফের সরব ভুক্তভোগীরা। যাচ্ছে ঊধর্তন মহলে তথ্যসহ অভিযোগ। ট্রেডিং কেলেঙ্কারি নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে গ্রেপ্তার হয়েছে অনেক নায়ক – খলনায়ক। থানায় – থানায় মামলা ও দায়ের হয়েছে বেশকয়েকটি। তাঁর মধ্যে বরাক উপত্যকার বিভিন্ন থানায় অভিযুক্ত দের তালিকা র মধ্যে অধিকাংশই গ্রেপ্তার হয়নি , তবে এবার তৎপর রয়েছে সাধারণ মানুষ। যাচ্ছে ঊধর্তন মহলে তথ্য সহ অভিযোগ।এদিকে শ্রীভূমি জেলার বদরপুর থানায় দায়েরকৃত এজাহারের অনেক অভিযুক্ত এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। গত বছর উপত্যকা কাঁপানো ভয়াবহ অনলাইন ট্রেডিং কেলেঙ্কারির পর্দাফাঁস হয়েছে। জানা গেছে, বরাক তথা উত্তর-পূর্বাঞ্চল জুড়ে রয়েছে তাদের কালো আন্তর্জালের থাবা। তাদের খপ্পরে পড়ে বরাক উপত্যকার অসংখ্য লোক সর্বস্ব হারিয়ে আজ নিরুপায়। অবশেষে প্রশাসনের দ্বারস্থ হতে হয় এবং প্রায় সব ক’টি থানায় এনিয়ে মামলা ও রুজু করা হয়েছে। তাঁর মধ্যে অন্যতম একটি মামলা বদরপুর পুলিশের হাতে রয়েছে। এ রকম এক মামলায় (নং ৪৮/২৫ ও জিআর নং ৩৮৫/২৫) বদরপুর পুলিশ তীব্র অভিযান চালিয়ে ট্রেডিং কেলেঙ্কারির মাস্টারমাইন্ড কে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে বিগত দিনে। কিন্তু বাদ পড়ে গেছে তাদের সহযোগী রা। বাখরশালের শাকির ও তার ভাই জাবির এবং ডানহাত রাজদীপ, মুজাক্কির সহ অনেককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। ফলস্বরূপ, বদরপুর পুলিশের প্রশংশায় পঞ্চমুখ হয় গোটা উপত্যকা।

কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে কিছুদিন পর পুলিশ প্রশাসন নিস্তেজ ও নীরব হয়ে যায়। বদরপুর পুলিশের রহস্যময় নীরবতা এবং বাকি অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার ব্যাপারে নীরব দর্শকের ভূমিকা রীতিমতো প্রশ্নের মুখোমুখি করছে! পরবর্তী কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বদরপুর পুলিশ। এখনও মামলার অন্যতম মূল অভিযুক্ত আবু তাহের খোলা আকাশের নীচে রয়েছে, যে কিনা নিজেকে ট্রেডিং কেলেঙ্কারির নায়ক শাকিলের ম্যানেজার বলে দাবি করতো। তাছাড়াও নির্বিঘ্নে চলাফেরা করছে বুন্দাশীলের সৈয়দ জুবের আলমের ছেলে সৈয়দ তানজিম আলম,স্যাডমি সাকিব চৌধুরী ,ওলি উল্লাহ, জাহাঙ্গীর আনসারি , জাহেদ আহমদ সিমু, সহ অনেকেই বেপরোয়া ঘুরে বেড়াতে দেখা গেলেও বদরপুর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠেছে বহু প্রশ্ন! এছাড়াও রাজদীপের প্রধান সহযোগী শরিফনগরের এমএইচ চৌধুরীর পুত্র সাদনান সাকিব রহস্যজনকভাবে মুক্তাঞ্চলের ঘুরাফেরা করলেও পুলিশ সূত্রে নেই কোনো ধরণের পদক্ষেপ। এদিকে ভুক্তভোগীরা সরব হচ্ছে বাকি অভিযুক্তদের শীঘ্রই পাকড়াও করে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য।


অন্যদিকে,বদরপুর থানা র ওসি র সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করলে যুব বিচিত্রা কে তিনি জানান শীঘ্রই গ্রেপ্তার হচ্ছে যারা বাদ পড়ে গেছে!তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে, এবং খুব শীঘ্রই তাঁরা গ্রেপ্তার হবে বলে জানায় বদরপুর র থানার ওসি। রাজ্য কাঁপানো ট্রেডিং কেলেঙ্কারি শেষমেশ কি রূপ নেয় বরাক উপত্যকায় তা হবে লক্ষণীয়!