উৎসর্গ রায় ধর্মনগর,১০জুন: স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা থেকে সর্বাবস্থায় পিছিয়ে থাকা রাজ্যের তালিকায় এবার পা বাড়াচ্ছে ত্রিপুরা। জাতির মেরুদণ্ড শিক্ষা, তবু ও নেই সরকারের আকর্ষণীয় পদক্ষেপ। যা আছে তাতে আবার প্রতিবাদের পথ দেখানো পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের।মোট কথা রাজ্যে শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য কবে পৌঁছবে উন্নত জমানায়? আজ ও উদ্বেগ প্রকাশ বুদ্ধিজীবী মহলের! উল্লেখ্য ধর্মনগর সরকারি স্নাতক কলেজে নেই পর্যাপ্ত সুবিধা,যেমন শৌচাগার, বিশুদ্ধ পানীয় জল সহ পার্কিং ব্যবস্থা, লাইব্রেরী তে নেই পর্যাপ্ত বইপত্রের ব্যবস্থা।
কলেজে পড়ুয়ারা বেশ বিপাকে। জেরবার সমস্যা মাথায় নিয়ে ও ঐতিহ্য বজায় রাখতে তৎপর পড়ুয়ারা। তাঁর মাঝে উপর্যপুরি কিছু পদক্ষেপ ছাত্র ছাত্রীদের করে তুললো প্রতিবাদমুখর। মঙ্গলবার সকালে পঠন পাঠন লাটে তুলে নামতে দেখা যায় প্রতিবাদে কলেজ পড়ুয়াদের। বিভিন্ন দাবী নিয়ে রীতিমতো সরব হয় কলেজ ছাত্র-ছাত্রী। অন্যদিকে দায়িত্বশীল ভূমিকায় থাকা প্রফেসর ডঃ সত্যজিৎ দাস কে বদলি, এনিয়ে চরম ক্ষোভ উগড়ে দেন কলেজের পড়ুয়ারা। তাদের অভিযোগ,পলিটিক্যাল সায়েন্সে পড়ুয়াদের সংখ্যা ২০০০র অধিক, নেই পর্যাপ্ত শিক্ষক তথা প্রফেসর।

যা রয়েছে দু একজন দায়িত্বশীল ভূমিকায় তাদের করা হচ্ছে অন্যত্র বদলি, শিক্ষা বিভাগের নীতি-নিয়ম নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভে ফুঁসছে পড়ুয়া রা।

২০০০ ছাত্র ছাত্রীর বিপরীতে শিক্ষকের সংখ্যা মাত্র ২ জন।ইহাই হলো হকিকত হাল ত্রিপুরা রাজ্যের সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যেও নাকি একজন গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষক ডঃ সত্যজিৎ দাস উনাকে করা হচ্ছে বদলি। ছাত্র ছাত্রীর অভিযোগ, Govt Degree College কি বন্ধ করার কোনো চক্রান্ত চলছে? তাহলে শৈক্ষিক পরিবেশ কেন উন্নত করার বদলে অবনতি করা হচ্ছে? মঙ্গলবার বিভিন্ন দাবী র প্রতিবাদে রীতিমতো ক্ষোভ , ধর্মনগর Govt.Degree কলেজে পড়ুয়াদের মধ্যে পরিলক্ষিত হয়। সাব্যস্ত করে দিনভর প্রতিবাদ কর্মসূচি। অসুস্থ হয়ে পড়তে দেখা যায় এক ছাত্র কে। খবর পেয়ে স্থানীয় প্রশাসন ছুটে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় এবং অসুস্থ ছাত্র কে পর্যাপ্ত চিকিৎসা র জন্য সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে, প্রতিবাদকারীদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের অভাব অভিযোগ এর সুরাহা দেওয়ার আশ্বাসে প্রতিবাদ প্রত্যাহার করাতে সক্ষম হয়, যদিও তবে তাঁরা বলেন শীঘ্রই তাদের অভিযোগ নিরসন না হলে ফের অনশনে বসবে কলেজ ছাত্র ছাত্রী।