যুব বিচিত্রা প্রতিনিধি, শিলচর,১৯মে: বাংলা ভাষার স্বীকৃতি লাভের জন্য শহীদ হয়েছেন বরাক উপত্যকার ১১ জন ভাষাসংগ্রামী। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে আজ ও তাদের কে স্মরণ করা হয় বরাক উপত্যকা সহ বাংলা ভাষাভাষী এলাকায়। শিলচর এক অন্যতম আয়োজনের কেন্দ্র বিন্দুতে রয়েছে ১৯শে মে -র শহীদ দিবস। স্থানীয় বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী সহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধি রা শিলচর রেলওয়ে স্টেশন এবং গান্ধী বাগ পার্কে থাকা শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক ও মাল্যদান করে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে দেখা যায়। এদিকে,
মূলত শিলচর রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে পুলিশের গুলিতে শহীদ হয়েছেন ১১ জন ভাষা সংগ্রামী। তারপর থেকেই শিলচর রেলওয়ে স্টেশন কে ভাষা শহীদ স্টেশন ঘোষণা র দাবীতে অনঢ় শিলচর সহ বরাকের মানুষ। কিন্তু আবেগ প্রবণ দাবি আজ ও সফলতা পায়নি। ফের সেই ভাষা শহীদ স্টেশন এর দাবীতে সোচ্চার হলেন শিলচর এর মানুষ সহ ভাষা প্রেমীরা। তবে বিশ্বের দরবারে যে অপরিসীম অবদান রয়েছে দুটি নারীর। একজন হলো বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী সম্প্রদায়ের ভাষা শহীদ সুদেষ্ণা সিনহা, অন্যজন কমলা ভট্টাচার্য । বিশ্বের প্রথম মহিলা শহীদ ভাষা প্রেমী এই দুজন নিজের মাতৃভাষা রক্ষার্থে শহীদ হয়েছেন। তাছাড়া ও বাকি ১০ জন বরাক উপত্যকার বাংলা ভাষা র স্বীকৃতি লাভের জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। অবশেষে ভাষা প্রেমীদের আবেগে সরকার তাদের শহীদ স্বীকৃতি দেয়। তবে দেয়নি শুধু শহীদ হওয়া স্টেশন কে কোন ধরণের স্বীকৃতি। ১৯শে মে সকাল ১০ টা থেকে ই ভাষা শহীদ দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক অরাজনৈতিক সংগঠন এর পক্ষে শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদন সহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সামিল হতে দেখা যায় বুদ্ধিজীবী – রাজনীতি বিদ – ভাষা প্রেমী সকলকেই।
তবে সবার একই দাবী শিলচর রেলওয়ে স্টেশন কে ভাষা শহীদ স্টেশন ঘোষণা করতে হবে। আজ ও সেই দাবী নিয়ে পুনর্বার সবাই মত ব্যক্ত করেন এবং কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। আবেগ প্রবণতার তাগিদ যে সরকার বা জনপ্রতিনিধি রা কতটুকু ফলপ্রসূ করবে তা হলো দেখার বিষয়। অন্যদিকে বিভিন্ন সংস্থা সংগঠন এর পক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন র পর সাংস্কৃতিক আয়োজন,পথ নাট্য , শিশু শিল্পী র দ্বারা নৃত্য পরিবেশন সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দিনটি উদযাপন করতে দেখা যায় শিলচরের নাগরিকদের।
