তারা এসেছিলো, সুরে, না কোনো তলোয়ারে,
ভাষার টানে, প্রেমে, প্রাণ দিলো তারা আপারে।
বাংলা ছিল বুকের ছন্দ, মায়ের মতন মধুর,
সেই ভাষার মর্যাদায় দাঁড়িয়েছিল একাদশ সুর।
কানাইলাল আগুন হয়ে প্রথম ডাক দিয়েছিল,
চণ্ডীচরণ প্রতিবাদের দীপ্ত রেখা টেনেছিল।
হিতেশ বলেছিল, “ভাষা মানে মায়ের হাসি,”
সত্যেন্দ্র গেয়েছিল সেই সুর—বিদ্রোহে ভাসি।
কুমুদ রঞ্জন চোখে আগামীর স্বপ্নে বিভোর,
সুনীল গাইলো ভাষার জন্য প্রেমের ছন্দঘোর।
তারিণী বয়ে আনলো বিপ্লবী বাতাস ধেয়ে,
সচীন্দ্র দাঁড়ালো অকুতোভয়ে, প্রাণ পণে গিয়ে।
বীরেন্দ্র বাঁধলো শব্দে সাহসিকতার গান,
সুকোমল হয়ে উঠলো বাংলা মাতৃভূমির প্রাণ।
কমলা, একমাত্র নারী, দীপ্তি হয়ে ঝরে,
তার ত্যাগে কেঁদেছিল ভাষার আকাশ ঘোরে।
ওরা নেই আজ চোখের সামনে,
তবু প্রতিটি হরফে ওদের নাম জপে।
আমরা যারা যুবা, করি কি স্মরণ?
নাকি ভাষা আজ কেবল উৎসবের বরণ?
ভাষা তো প্রাণের জোনাকি আলো,
যে আলোয় মিশে আছে একাদশের ভালোবাসা, ভালো।
তাই আজও বলি, বুক ফাটিয়ে বলি—
বাংলা আমার গর্ব, আমার প্রাণ-চেতনের ডালি।
…….অরুন্ধতী পাল চৌধুরী