আসলেই কি সেই মূল অপরাধী ? না আড়াল করা হয়েছে মূল অভিযুক্ত! চর্চা সচেতন মহলে
যুব বিচিত্রা প্রতিনিধি, কলকাতা,২০ জানুয়ারি: ফাঁসি নয়, আরজি করের ধর্ষণ-খুনে আমৃত্যু কারাবাসের নির্দেশ দিল শিয়ালদহ আদালত! বিচারক অনির্বাণ দাসের পর্যবেক্ষণ, ‘এই ঘটনা বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা নয়’।ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪, ৬৬ এবং ১০৩ (১) এই তিনটি ধারায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। সিবিআই মৃত্যুদণ্ডের জন্য সওয়াল করলেও শেষমেশ আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক অনির্বাণ দাস। সঙ্গে জরিমানা করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। জরিমানার অর্থ দিতে না পারলে আরও চার মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় শিয়ালদহ আদালত। ফাঁসি দিল না কেন? ফাঁসি দিলে মনটাকে সান্ত্বনা দিতে পারতাম’।আরজি কর-কাণ্ডে রায় শুনে ফাঁসির পক্ষেই ফের একবার সওয়াল করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, তিনি দোষীর ফাঁসি চেয়েছিলেন। তিনি সোমবার বলেন, ”আমরা ফাঁসির দাবি করেছিলাম।আমাদের হাতে কেসটা থাকলে অনেক আগেই ফাঁসির অর্ডার করে নিতাম।”
মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, ‘ফাঁসি দিল না কেন? ফাঁসি দিলে খুশি হতাম। নরপিশাচদের কঠোর সাজা হওয়া উচিত। আমরা প্রথম দিন থেকেই ফাঁসির দাবি করে এসেছিলাম। আজকেও সেই দাবিতে অনড় আছি। আপনারা জানেন আমাদের তিনটে কেসে ফাঁসি হয়েছে। এই কেস অত্যন্ত সিরিয়াস। এটা নিয়ে আমাদের ফাঁসির দাবি ছিল।’তিনি আরও বলেন, ‘বিচারের রায় নিয়ে আমি কিছু বলব না। আমাদের হাতে থাকলে অনেক দিন আগেই ফাঁসির অর্ডার করিয়ে দিতাম। আমি জানি না কীভাবে লড়াই করেছেন আইনজীবীরা। সিবিআই কেস করেছে। আমাদের হাত থেকে কেস নিয়ে গেল। আমরা বিচার চেয়েছিলাম। এই নরপিশাচদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত ছিল। অন্যদিকে, সঞ্জয় ই কি সেই মূল অপরাধী? নাকি আড়াল করা হয়েছে অন্যতম প্রধান অভিযুক্তদের? এমনটাই চর্চাই রীতিমতো তোলপাড় সচেতন মহল!