যুব বিচিত্রা প্রতিনিধি, ধর্মনগর,১৪মে: ত্রিপুরা রাজ্যের উত্তর জেলার কদমতলায় বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন তহবিল (BEUP) থেকে নির্মিত রাম ঠাকুর মন্দিরে চরম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে সরব হয়েছেন খোদ বিধায়ক ইসলাম উদ্দিন।২০২২-২৩ অর্থবছরে বিধায়ক তহবিল থেকে প্রায় ১১ লক্ষ ৭১ হাজার ৭৫ টাকা বরাদ্দ করা হয় এই মন্দির নির্মাণের জন্য। কাজের দায়িত্ব পান ঠিকাদার নীতিশ দেবনাথ এবং নির্মাণ তদারকির দায়িত্বে ছিলেন কদমতলা আর.ডি. ব্লকের ইঞ্জিনিয়ার গৌতম দেবনাথ। সম্প্রতি নির্মাণস্থল পরিদর্শনে গিয়ে বিধায়ক ইসলাম উদ্দিন ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, মন্দিরে ব্যবহৃত রড, পাথর, বালি অত্যন্ত নিম্নমানের। দরজাগুলি এতটাই দুর্বল যে, কয়েক মাসের মধ্যেই নষ্ট হয়ে পড়বে।
তিনি বলেন, “মন্দিরের অধিকাংশ কাঠামো পূর্বেই নির্মিত ছিল, অথচ সম্পূর্ণ অর্থ ব্যয় দেখানো হয়েছে। নির্মাণের মান দেখে মনে হচ্ছে ছয় মাসও টিকবে না এই ভবন।”বিধায়কের দাবি, গম্বুজ বাঁকা এবং নির্মাণকাজ নির্ধারিত মানদণ্ড মেনে হয়নি। এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত ও পুনঃনির্মাণের দাবি জানান তিনি। এদিকে মন্দির কমিটির সম্পাদক সুজিত আচার্য ও পুরোহিত রাজু চক্রবর্তী জানান, তাঁরা মহকুমা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করবেন। তাঁদের দাবি, “এই মন্দির আমাদের বিশ্বাসের প্রতীক, এভাবে নিম্নমানের কাজ কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।” ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এই দূর্নীতির সঙ্গে জড়িত দের চিহ্নিত করে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান প্রশাসনের নিকট।মূল কথা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে এহেন দূর্নীতি মেনে নেওয়ার নয় বললেন কমিটির সকলেই।
