১৮ ই মার্চ দিনটি ধার্য ছিল শিলচর রামকৃষ্ণ মিশন সেবাশ্রমের শতবর্ষ পূর্তি সমারোহ এবং শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ দেব এর নবনির্মিত মন্দির উদ্বোধন
যুব বিচিত্রা প্রতিনিধি, শিলচর,১৮ মার্চ: মঙ্গলবার প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সকাল সাড়ে নয়টার শিলচর রামকৃষ্ণ মিশন সেবাশ্রমের শতবর্ষ পূর্তি সমারোহ উদযাপনে যোগ দেন।

১৮ ই মার্চ দিনটি ধার্য ছিল শিলচর রামকৃষ্ণ মিশন সেবাশ্রমের শতবর্ষ পূর্তি সমারোহ ।
নির্ধারিত অনুষ্ঠানে মুখ্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী ড° হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।
এদিন এই মহতি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব,মাতা সারদা দেবী এবং স্বামী বিবেকানন্দের শ্রীচরণে প্রণাম নিবেদন করে তাদের মহৎ উদ্দেশ্য এবং মানবসভ্যতা – সংস্কৃতি র উন্নয়ন-পরিকল্পনা নিয়ে আলোকপাত করেন মুখ্যমন্ত্রী শর্মা।
এদিন মিশনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় নবনির্মিত শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ দেব এর মন্দির নির্মাণের বিবরণ শুনে ঋণগ্রস্ত ৪ কোটি টাকার দায়িত্ব সমঝে নেন, তৎসঙ্গে রামকৃষ্ণ মিশন সেবাশ্রমের হাসাপাতাল নির্মাণে অসম সরকারের তহবিল থেকে ৫ কোটি টাকার সরকারি অনুদান প্রদানের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।
এদিন মিশনের এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বেলুড় মঠ এবং সর্বভারতীয় রামকৃষ্ণ মিশন সেবাশ্রমের সভাপতি এবং সহ-সভাপতি সহ বিশিষ্ট জনেরা।
এছাড়াও রাষ্ট্র-আন্ত: রাষ্ট্র থেকে প্রায় ২ শতাধিক সাধু সন্ন্যাসী রা যোগ দেন শতবর্ষ পূর্তি সমারোহ অনুষ্ঠানে।

এছাড়াও আর কি বললেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা:
শ্রীশ্রী ঠাকুর এবং শ্রীশ্রী মায়ের শিক্ষা অনুসরণ করে সমাজে আধ্যাত্মিকতা সঞ্চারের প্রচেষ্টায় রামকৃষ্ণ মিশন একটি বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে।
আধ্যাত্মিক চেতনা এবং মানবসেবায় মিশনের কর্মযজ্ঞ বিশ্বজুড়ে অসংখ্য মানুষকে অনুপ্রাণিত ও উপকৃত করেছে।
আজ শিলচরে আমি রামকৃষ্ণ মিশন সেবাশ্রমের শতবর্ষ উদযাপনে অংশগ্রহণ করি এবং রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের শ্রদ্ধেয় সংঘাধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী গৌতমানন্দজী মহারাজের গৌরবময় উপস্থিতিতে শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ দেবের নবনির্মিত মন্দিরটি উদ্বোধন হয় এবং এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে নিজেকে আশীষ ধন্য মনে করলেন মুখ্যমন্ত্রী শর্মা।