হাইলাকান্দিতে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা, লরির ধাক্কায় অকুস্থলে মৃত্যু পিতা-পুত্রের

যুব বিচিত্রা, প্রতিনিধি, হাইলাকান্দি,৬ফেব্রুয়ারি: হাইলাকান্দি জেলার মনাছড়ায় ভয়ংকর পথ দূর্ঘটনা। গাড়ির ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু পিতা পুত্রের। দ্রুতগামী একটি লরি পিতা ও তার অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া পুত্রকে সজোরে ধাক্কা মেরে গা ঢাকা দেয় লরি। লরির ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই সড়কে লুটে পড়ে। স্থানীয়রা ছুটে এসে চিকিৎসালয়ে প্রেরণ করতে পারে নি। সেখানে ই তাদের মৃতদেহ নিয়ে শুরু হয় তীব্র উত্তেজনা। ঘটনাটি সংগঠিত হয় বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে,বাবা তার ছেলে‌কে স্কুল থেকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় এই দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, লরিটি মাত্রাতিরিক্ত গতিতে চলছিল এবং চালককে সন্দেহ করা হচ্ছে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর জন্য ই এমনটা দূর্ঘটনা সংগঠিত হয়। ঘটনাটি মুহূর্তের মধ্যেই পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় টান টান উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। প্রায় দু’ঘন্টা ধরে স্থানীয়রা সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ সাব্যস্ত করতে দেখা যায়। ঘটনার খবর পেয়ে সাথে সাথে হাইলাকান্দি পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। বিক্ষোভ জনতার উত্তেজিত পরিস্থিতি সামলাতে না পেরে সাথে সাথে সিআরপিএফ (CRPF) বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।পরে ক্ষুব্ধ জনতা কে প্রশাসনের কর্মকর্তারা বুঝিয়ে সুজিয়ে অবরোধ প্রত্যাহার করান।

প্রতিবাদীরা লরিচালকের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তৎসঙ্গে উপস্থিত অনেকেই ভুক্তভোগী পরিবারটিকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান করার দাবী জানান। এলাকাবাসী অভিযোগ করেন যে, হাইলাকান্দিতে নিয়মিতভাবে বেপরোয়া গতির লরি ও ট্রাক চলাচল করলেও প্রশাসন নীরব দর্শকের ভূমিকায়। বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীরা নিহতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং পরিবারের একজনকে সরকারি চাকরি দেওয়ার দাবি জানান। স্থানীয়দের মতে, হাইলাকান্দিতে বেপরোয়া ট্রাক ও লরির দৌরাত্ম্য দীর্ঘদিন ধরে মারাত্মক রূপ ধারণ করলেও জিলা পরিবহন বিভাগ এবং স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন একপ্রকার কুম্ভ নিদ্রায় আচ্ছন্ন। বাইক আরোহীদের বিরুদ্ধে কঠোরতা দেখা গেলেও ভারী যানবাহনের অনিয়ন্ত্রিত গতির কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। স্থানীয়রা প্রশাসনের কাছে লরিচালককে গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি দেওয়ার দাবি জানান, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা এড়ানো যায়। পরিবহন বিভাগ যত ই “পথ সুরক্ষা মাস” আর কিছুই নিত্য নতুন পদক্ষেপ নিক না কেন যতক্ষণ পর্যন্ত স্কুল কলেজ,হাট-বাজার স্পর্শকাতর স্থানে গতিরোধ করতে বিকল্প ব্যবস্থা না নিবে ততক্ষন কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না বলে ধারণা বুদ্ধিজীবী নাগরিকের।