হাইলাকান্দি তে বাড়ছে চুরের উপদ্রব,জেলা পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন!
যুব বিচিত্রা প্রতিনিধি, হাইলাকান্দি,৪ ফেব্রুয়ারি: হাইলাকান্দি জেলার রতনপুর দ্বিতীয় খণ্ডে এক চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। নিশিকুটুম্বের দল রাতের অন্ধকারে দরজা ভেঙে প্রায় ৪০ কুইন্টাল রেশন দোকানের চাল নিয়ে গেছে। এই চাল ছিল দরিদ্র রেশন কার্ড হিতাধিকারীদের জন্য বরাদ্দকৃত চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রতনপুর দ্বিতীয় খণ্ডের ন্যায্যমূল্যের দোকানের স্বত্বাধিকারী রুশন আহমদ বড়ভূঁইয়ার দোকানে রবিবার রাতে এই চুরির ঘটনা সংঘটিত হয়। সোমবার সকালে দোকান খুলতে এসে মালিক দেখতে পান, দরজা ভাঙা এবং ভেতর থেকে বিপুল পরিমাণ চাল ভর্তি বস্তা উধাও। মুহূর্তের মধ্যেই এই খবর ছড়িয়ে পড়লে পুরো এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।

চাল চুরি যাওয়ার ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন অসংখ্য দরিদ্র রেশন কার্ডধারী পরিবার। চাল নিতে এসে খালি হাতে ফিরে যেতে হয়েছে বহু মানুষকে। ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এ নিয়ে সোমবার হাইলাকান্দি সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন রেশন দোকানদার রুশন আহমদ বড়ভূঁইয়া। তিনি প্রশাসনের প্রতি দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান। এদিকে, পুলিশ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছে। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কে বা কারা এই চুরির সঙ্গে জড়িত, তা জানার চেষ্টা চলছে। চাল কীভাবে চুরি হলো এবং কোথায় সরানো হলো, সে বিষয়ে সন্দেহ ও প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। এই চুরির ঘটনায় এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তাছাড়া ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন মাটিজুরি সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান কমরুল আমিন লস্কর, বিশিষ্ট সমাজসেবী আলতাফ হোসেন বড়ভূইয়া প্রমুখ। উল্লেখ্য, হাইলাকান্দি জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিগত বেশ কয়েক দিন ধরে চুরির ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে। রাতের অন্ধকারে মানুষের গৃহপালিত পশু গরু, মহিষ ও ছাগল ইত্যাদি চুরি হচ্ছে। তাই, এ ব্যাপারে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা।