মুন্নাভাই এমবিবিএস এর দৌরাত্ম্য রোধে এবার তৎপর আসাম কাউন্সিল অব মেডিকেল রেজিস্ট্রেশন (এ.সি.এম.আর) কর্তৃপক্ষ

যুব বিচিত্রা প্রতিনিধি, শিলচর ০৩ আগস্ট :- বরাক উপত্যকার আনাচে কানাচে দৌরাত্ম্য বেড়েছে আঁতুড় ডাক্তারের। অবৈধ ভুয়া চিকিৎসক এর ফাঁদে পড়ে বিপন্ন বহু প্রাণ। তবু ও যেন টনক নড়ে নি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের। এবার অবৈধ ডিগ্রিধারী ভুয়ো চিকিৎসকের দৌরাত্ম্য রোধে তৎপর হয়েছে আসাম কাউন্সিল অব মেডিকেল রেজিস্ট্রেশন (এ.সি.এম.আর)। কাউন্সিলের ভিজিলেন্স আধিকারিক ডাঃ অভিজিৎ নেওগ এর এক এজাহারের ভিত্তিতে গতকাল রাতে শিলচর নারীশিক্ষা সেবাশ্রম এ প্রসূতি বিভাগ থেকে চিকিৎসা প্রদান করা অবস্থায় হাতেনাতে

গ্রেপ্তার করা হয় ভূয়া চিকিৎসক মুন্নাভাই পুলক মালাকার কে। গত ২৯ জুলাই শিলচরের স্বঘোষিত চিকিৎসক মুন্নাভাই পুলক মালাকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ভিজিলেন্স আধিকারিক ডাঃ অভিজিৎ নেওগ। মামলা নথিভুক্ত করা হয় বেশকটি ধারায়। শিলচর পি.এস কেস নং-৭৮৬/২০২৫ র অধীনে ভারতীয় ন্যায় সহিংতার :১২৫/২৭১/৩১৮(৪)/৩১৯(২)/৩৩৬(৪)/৩৪০(২)/১১২(২).বি.এন.এস। এতসব জামিন অযোগ্য ধারায় মুন্নাভাই এমবিবিএস পুলকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। এখানে উল্লেখ রয়েছে দুটি বেসরকারি হাসপাতালের নাম। শিলচরের গ্রেস ওয়েল হাসপাতাল এবং নারীশিক্ষা সেবাশ্রমে ভুয়া চিকিৎসক পুলকের দীর্ঘদিন ধরে চেম্বার রয়েছে। সেখানে পুলক মালাকার স্বাস্থ্য পরিষেবা সুনিশ্চিত করতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাওয়ার তথ্য সামনে এসেছে। আসাম

কাউন্সিল অফ মেডিকেল রেজিস্ট্রেশন এ.সি.এম.আর এর ভিজিলেন্স আধিকারিক ডাঃ অভিজিৎ নেওগের এজাহারে কাছাড় পুলিশ এবং জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের যুগ্ম সঞ্চালক এর ঘুম ভেঙেছে। বরাক উপত্যকায় অনেক মুন্নাভাই এমবিবিএস ডাক্তার আছেন যারা মানুষের জীবন নিয়ে ছেলেখেলা করছে আজ ও। অনেক ফার্মাসিস্ট রয়েছে তাঁরা প্রসূতি র কাজ সহ গর্ভপাত করানোর খবর তথ্য প্রমাণ সহ সামনে এসেছে। অথচ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ নীরব দর্শকের ভূমিকায় অভিনয় করছেন। তৎসঙ্গে বেসরকারি মালিকানাধীন হাসপাতাল গুলির উপর তদন্ত হওয়া উচিত কীভাবে তারা এই ধরনের ভুয়া ডাক্তারদের স্বঘোষিত চিকিৎসক বানিয়ে মধুর সাম্রাজ্য বিস্তার করে চলছে ?

কিভাবে এধরণের ভুয়া চিকিৎসক কে পরিষেবা প্রদান অব্যাহত রাখার অনুমতি দেয়? অনেক প্রশ্ন উঠেছে নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে! রাজ্যের করিৎকর্মা মুখ্যমন্ত্রী ড° হিমন্ত বিশ্ব শর্মা র হস্তক্ষেপ কামনা করেন বরাকের সচেতন নাগরিক। শীঘ্রই বরাক উপত্যকার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অবৈধ ডিগ্রিধারী ভুয়ো চিকিৎসক তথা মুন্নাভাই এমবিবিএস কে আটক করে জেলে পাঠানো এবং স্বাস্থ্য বিভাগের ভূমিকা সক্রিয় করতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী র দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বরাকের মানুষ। এদিকে আসাম কাউন্সিল অব মেডিকেল রেজিস্ট্রেশন কর্তৃপক্ষের এহেন পদক্ষেপ কে সাধুবাদ জানান সচেতন নাগরিক।