সংবাদ সংস্থা, ০৮ সেপ্টেম্বর :– পরিবারের ২০ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য ও সরকারি চাকরি দেওয়ার দাবি তুললেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। বললেন, ‘ন্যূনতম সৌজন্যবোধ, অনুতাপ এই ব্যক্তির নেই। এরা আবার সমাজের কি ভালো করবে’?
বিধায়ক শওকত মোল্লার কনভয়ে দুর্ঘটনা। পাইলট কারের ধাক্কায় প্রাণ হারিয়েছেন বাইক আরোহী। ভাই হারানোর শোকে প্রয়াত দাদাও! নিহত পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার দাবি তুললেন ভাঙড়ের ISF বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। সঙ্গে পরিবারের একজনকে সরকারি চাকরিও। এদিন নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন নওশাদ। তিনি বলেন, ‘ন্যূনতম সৌজন্যবোধ, অনুতাপ এই ব্যক্তির নেই। এরা আবার সমাজের কি ভালো করবে’? তাঁর অভিযোগ, ‘যে পাইলট কার ধাক্কা দিয়েছে, সেই গাড়িটির বৈধ কাগজপত্রও নেই। এইরকম গাড়িতে আইন রক্ষকরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন কি করে? সাধারণ মানুষ এই অন্যায় কাজ করলে তো জেল খাটতে হতো। ভাঙড়ের বিধায়কের দাবি, ‘অবিলম্বে সওকাত মোল্লাকে ক্ষমা চাইতে হবে। পরিবারটিতে দুইটি ছেলে ও একটি মেয়ে আছে। তাদের পড়াশোনার খরচের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। ন্যূনতম ২০ লক্ষ টাকার আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং পরিবারের একজনের একটি সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে’। জানান, ‘পরিবারটি যাতে ইনসাফ পায়, সেই বিষয়ে সবধরণের পদক্ষেপ নেওয়া হবে’।
গত ৩ মে ক্যানিং থেকে কলকাতা যাওয়ার পথে বামনঘাটা এলাকার কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লার কনভয়। অল্পের জন্য রক্ষা পান বিধায়ক। তবে পাইলট কার ও বাইকের সংঘর্ষে মৃত্যু হয় বাইক আরোহী। স্থানীয় সূত্রে খবর, জীবনতলা থেকে বাসন্তী হাইওয়ে ধরে কলকাতার দিকে যাচ্ছিলেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক। তাঁর গাড়ির সামনে ছিল পুলিসের পাইলট গাড়ি। হঠাৎ সেই পাইলট গাড়ির সামনে একটি বাইক চলে আসায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইক ও পাইলট গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
পাইলট গাড়ির সামনের অংশ ভেঙে যায়। দুমরে মুচড়ে যায় বাইকটিও। গুরুতর আহত হন বাইক চালক ও পাইলট গাড়ি চালক। তাঁদেরকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতায়। পরে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় বাইক আরোহীর।