সংবাদ সংস্থা, ০২ আগস্ট :- স্বপ্নের প্রকল্প আয়ুষ্মান ভারত সবকটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অগ্রাহ্য লাভ করছে। চরমে উঠে হয়রানি সাধারণ রোগীদের। এই প্রকল্পটি প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়’, সোশ্য়াল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিলেব মুম্বইয়ের এক তরুণী। তাঁর প্রশ্ন, ‘যদি আমাদের মতো শিক্ষিত, ইন্টারনেট জানার পরিবার বিপদের সময়ে সাহায্য না পায়, তাহলে গরিব, শ্রমিক পরিবারগুলির কী হবে’?
ভয়াবহ অভিজ্ঞতা! ‘একটি হাসপাতালও ভর্তি নিল না’, সোশ্যাল মিডিয়ায় মোদীর স্বপ্নের ‘আযুষ্মান ভারত’ প্রকল্পের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন মুম্বইয়ের এক তরুণী। তাঁর দাবি, ‘এই প্রকল্পটি প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়’। বয়স সত্তরের কাছাকাছি। ওই তরুণীর বাবা একজন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মী। চার দশকের চাকরি জীবন। ট্যাক্সও দেন নিয়মিত। ঘড়িতে তখন সাড়ে পাঁচটা। ভোরের দিকে হঠাত্ অসুস্থ হয়ে পড়েন বৃদ্ধ। আপদকালীন পরিস্থিতিতে ‘আযুষ্মান ভারত’ প্রকল্পে তালিকাভুক্ত হাসপাতালগুলিতে ফোন করতে শুরু করেন ওই তরুণী।
এক্স হ্যান্ডেলে ভিডিয়োতে ওই তরুণীর দাবি, ‘২৪ হাসপাতালে ফোন করেছিলাম। ১০ হাসপাতাল সরাসরি ‘আযুষ্মান ভারত’ প্রকল্পে তালিকাভুক্ত থাকার কথা অস্বীকার করে। ৬ হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগই করা যায়নি। কোনটাও রিং হচ্ছিল, আবার কোনটা আউট অফ সার্ভিস বলছিল। বাকি হাসপাতালগুলি হাস্যকর যুক্তি দেখায়। কেউ বলে, এই প্রকল্পে শুধুমাত্র ক্যানসারের চিকিত্সা হয়, তো কেউ বলে, শুধুমাত্র ICU পরিষেবার জন্য এই প্রকল্পের সুবিধা মেলে’। তাঁর প্রশ্ন, ‘সাধারণ রোগীরা কোথায় যাবে’? এই ঘটনায় ‘আযুষ্মান ভারত’ প্রকল্পের স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রত্যন্ত কোনও এলাকা নয়, ওই তরুণী থাকেন মুম্বইয়ের মতো শহরে। শহুরে, স্বচ্ছল পরিবার। ওই তরুণীর প্রশ্ন, ‘যদি আমাদের মতো শিক্ষিত, ইন্টারনেট জানার পরিবার বিপদের সময়ে সাহায্য না পায়, তাহলে গরিব, শ্রমিক পরিবারগুলির কী হবে’? সরকারের তরফে অবশ্য এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।