কীভাবে দুঁদে অপরাধীদের মতো ঘুঁটি সাজায় দেশরাজ? CCTV লুকোতে রেইকি! ঈশিতা বাড়িতে তখন!

সংবাদ সংস্থা, ২৭ আগস্ট :- ২৪ অগাস্ট ট্রেনে উঠে গেছে বললেও শহরেই ছিল দেশরাজ। ২৫ অগাস্ট দুপুর কৃষ্ণনগর গিয়ে বান্ধবীকে গুলি করে খুন করে। দেশরাজ নাকি এদিন বলেছিলেন, ‘বাবা আমি উত্তরপ্রদেশের গ্রামে যেতে চাই।

খুনের পর এখনও বেপত্তা দেশরাজ। সদ‍্য উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে কলেজ ভর্তি হয়েছে। গুলি করে বান্ধবীকে খুনে অভিযুক্ত বিএসএফ জওয়ানের সেই ছেলের খোঁজেই এখন হন্যে পুলিস। কিন্তু পুলিসকে ঘোল খাওয়াতে রীতিমতো পাকা বুদ্ধির অপরাধীদের মতো ঘুঁটি সাজায় দেশরাজ। কিন্তু এমনটা কেন মনে করছেন তদন্তকারীরা? সূত্রের খবর, ছাত্রীর বাড়িতে কোনও সিসিটিভি না থাকলেও আশেপাশের এলাকার সিসিটিভিতে তার কোনও ছবি এখনও পাওয়া যায়নি। তবে তা সিসিটিভি থেকে লুকিয়ে বাড়িতে প্রবেশের জন‍্য আগেই রেইকি করে? ওই সময় যে বাড়িতে ছাত্রী একা থাকা তাও কি আগেই জানা ছিল? খুনের আগেই অভিযোগ থেকে বাঁচার পরিকল্পনা যে আগেই করে রেখেছিল তার প্রমাণ মিলেছে খোদ তাঁর বাবার একটি বক্তব্যে থেকে। বাবার দাবি, তাঁর ছেলে উত্তর প্রদেশে যাওয়ার কথা বলেছিল। সেই অনুযায়ী তিনি ২৪ অগাস্ট বিকেল ৩টের সময় পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসের ট্রেনের টিকিট কেটে দেন।

২৪ অগাস্ট দেশরাজ তাঁকে ফোন করে জানান ট্রেনে উঠে গিয়েছে। পরদিন সকাল সাড়ে চারটে নাগাদ ছেলেকে ফোন করেন তারপর থেকে ফোনে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। অথচ ২৫ অগাস্ট সে কৃষ্ণনগরে গিয়ে খুন করে। পুলিসের অনুমান, ছাত্রী বাড়িতে একা থাকাকালীন সেই সময় গুলি করে খুন করে পালিয়ে যাবে। যদি তাঁকে সন্দেহ করা হয় সে অজুহাত দিতে পারবে সে রাজ্যে ছিল না তাঁর আগের দিনই উত্তর প্রদেশের চলে গিয়েছিল।

এখানে পুলিসের আরও ধারণা, ২৪ অগাস্টের ট্রেনের টিকিট কেটেছিল। তাহলে কী সেদিন বা তার আগেই খুনের পরিকল্পনা ছিল। তারপর ট্রেনে করে পালানোর ছক ছিল? সোমবার খুনের পর থেকে দেশরাজের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস। তার কাচরাপাড়ার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। যদিও এখনও তার নাগাল পাওয়া যায়নি।

সূত্রের খবর, ঈশিতার বাবা আগে সেনা বাহিনীতে কাজ করতেন। দেবরাজের বাবা বিএসএফের কাজ করেন। সেই সূত্রে কাচরাপাড়া কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়কে পড়াশোনা দুজনের এবং সেই সূত্রেই বন্ধুত্ব। কল‍্যানীতে একটি কলেজে প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়। দেশরাজের বাবা বিএসএফের চাকরি করেন। রাজস্থানে পোস্টিং। মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যম কে তিনি বলেন, “যদি আমার ছেলে দোষী হয় তাহলে দেশের সব নাগরিকের জন্য যে শাস্তির বিধান আছে। তাহলে আমার ছেলেরও সেই শাস্তি হওয়া উচিত”।