অন্যদিকে প্রশ্নের উৎপত্তি, মহিলাদের ক্ষেত্রে কি ছাড়পত্র ? অশ্লীলতা র জন্যে!
সংবাদ সংস্থা,১৫ আগস্ট: বিচারপতি বলেন, ‘এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে, একজন মহিলা সাইবার হেনস্থার শিকার হচ্ছেন, তখন পুলিস এমন একটি জামিনযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করছে। এই ধরনের অপরাধের মাত্রা আরও গভীর এবং এর জন্য আরও কঠোর ধারার প্রয়োগ হওয়া উচিত।’
সাইবার অপরাধের ক্রমশ বেড়ে চলা ঘটনার মধ্যে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট একটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ রায় দিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে এক মহিলাকে কুরুচিপূর্ণ এবং বিকৃত বার্তা পাঠানোর অভিযোগে এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়েছিল, তাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছে আদালত। এই রায় সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথাই বলেছে।
ঘটনা :-
একজন ব্যক্তি সামাজিক মাধ্যমে এক মহিলাকে নিয়মিত আপত্তিকর এবং অশ্লীল বার্তা পাঠাচ্ছিল। ওই মহিলা এরপর পুলিসের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৪ ধারায় (অশ্লীল কাজ বা গান) মামলা দায়ের করে। এই ধারাটি জামিনযোগ্য হওয়ায় অভিযুক্ত সহজেই জামিন পেয়ে যায়।
হাইকোর্টের বক্তব্য :-
এই বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে এলে আদালত তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে। বিচারপতি বলেন, ‘এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে, একজন মহিলা সাইবার হেনস্থার শিকার হচ্ছেন, তখন পুলিস এমন একটি জামিনযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করছে। এই ধরনের অপরাধের মাত্রা আরও গভীর এবং এর জন্য আরও কঠোর ধারার প্রয়োগ হওয়া উচিত।’ আদালত উল্লেখ করে যে, সামাজিক মাধ্যমে কুরুচিকর মন্তব্য বা বিকৃত বার্তা পাঠানো কেবল একটি অশ্লীল কাজ নয়, এটি নারী সম্মান এবং মর্যাদার ওপর সরাসরি আক্রমণ।
পুলিসের কাজ :-
আদালত পুলিসকে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনায় আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছে। বিচারপতিরা স্পষ্ট করে বলেন, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে মহিলাদের হয়রানি করা হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোরতর, অর্থাৎ জামিন-অযোগ্য ধারায় মামলা করা প্রয়োজন, যাতে অপরাধীরা সহজেই ছাড়া না পায়। এই রায় সাইবার অপরাধের শিকার হওয়া মহিলাদের জন্য একটি বড় ভরসা হিসেবে কাজ করবে।
আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, হাইকোর্টের এই রায় সাইবার অপরাধ মোকাবিলায় একটি নতুন দিকনির্দেশনা দেবে। অনেক সময় দেখা যায়, পুলিস আধুনিক প্রযুক্তি এবং অপরাধের ধরনের সঙ্গে মানানসই ধারা প্রয়োগ করতে ব্যর্থ হয়। এর ফলে অপরাধীরা সহজেই আইনের ফাঁক গলে বেরিয়ে যায়। এই রায়ে পুলিসকে আরও সতর্ক এবং সংবেদনশীল হওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে। এটি সমাজকেও মনে করিয়ে দেয় যে, সাইবার জগৎকে সুরক্ষিত রাখতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর পাশাপাশি আমাদেরও সচেতন হওয়া জরুরি।
এদিকে, প্রশ্ন উঠেছে শুধু মহিলাদের এহেন অশ্লীল ম্যাসেজ অপরাধ বলে গণ্য হলে মহিলাদের ক্ষেত্রে কি তা নয়? তাদের জন্যে কি বিশেষ ছাড়পত্র আদালতের? বিভিন্ন সময় দেখা যায় মহিলারা সামাজিক মাধ্যমকে হাতিয়ার করে বেজায় পুরুষদের পকেট কাটছে, আর্থিক মুনাফা অর্জন করতে সামাজিক মাধ্যমে অশালীন পোশাক অশালীন আচরণ কি আইনের আওতায় পড়বে না? এমনটাই দাবি সচেতন নাগরিক দের!