পরকীয়ার ঘটনায় ফের উত্তপ্ত, এক বাচ্ছা র মাকে গোপনে বিয়ে পরে স্ত্রী র স্বীকৃতি দিতে নারাজ প্রতারক স্বামীর!

প্রথমে পরকীয়া, প্রেমের জালে আটকা, তারপর গৃহবধূর স্বপ্ন দেখিয়ে বিয়ে,পরেই আসল চেহারায় রিপন!

যুব বিচিত্রা প্রতিনিধি আগরতলা,২১ আগস্ট: পরকীয়ার জন্য কি মেয়েরাই দায়ী? নেশায় আসক্ত স্বামীর কবলে পড়ে আজ ও বহু মেয়েরা হতাশাগ্রস্ত!

উল্লেখ্য, এক সন্তানের জননীর সঙ্গে প্রেম পরকীয়া তারপর টোপ দিয়ে বিয়ে করা, তারপর স্ত্রীর মর্যাদা দিতে নারাজ যুবক ও তার পরিবার!

তরুণী বধূ শেষপর্যন্ত পূর্ব মহিলা থানার দ্বারস্থ হয়ে বিচারের প্রার্থনা জানায়।

পাড়ার বৌদি কে বৌ বানিয়ে প্রতারণা করা যুবকের নাম রিপন দাস,বাড়ি ত্রিপুরা রাজ্যের আড়ালিয়া শালবাগান এলাকায়।

মহিলার নাম ইশা দেব, বয়স ২৩ বছর।একই এলাকার বাসিন্দা ইশা, প্রথম সংসারে রয়েছে তার ৭ বছরের একটি সন্তানও, তবে কেন ই বা ইশা ৭ বছরের সন্তান ছেড়ে পরকীয়ায় লিপ্ত হলেন? ইশার বক্তব্যে :- আগের স্বামী নেশা গ্রস্থ হয়ে শারিরীক মানষিক নির্যাতন চালাতো বলেই সেই পথে তাঁর পা রাখা হয়। তবে পরকিয়ায় যে শুধু মেয়েরা ই দায়ী বা স্ত্রী র নির্লিপ্ত ভূমিকা তা নয়,দায়ী উভয়েই। যেমন পুরুষ তেমন নারী।

নেশাগ্রস্ত পুরুষের পাল্লায় পড়ে দূর্বিসহ জীবন কাটাচ্ছেন আজ ও অনেক নারী তথা গৃহিণী। পুরুষের অক্ষমতা, নারীদের সম্মান দায়িত্ব কর্তব্যনিষ্ঠা র অভাব ই যেন দায়ী পরকীয়ায় এমনটাই ধারণা বিশ্লেষকদের।

ইশা কে পরিবারের অজান্তে কসবা কালি মন্দিরে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করে রিপন দাস। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তাকে বাড়িতে নিয়ে যেতে অস্বীকার করে, গৃহবধূ হিসেবে সমঝে নিতে নারাজ রিপন সহ তার পরিবার?অভিযোগ নিয়ে ইশা পুলিশের দ্বারস্থ।

রিপনের ভুয়ো প্রতিশ্রুতি পেয়ে মন্দিরে বিয়ে ও করে ইশা,পরে মেয়েটিকে গৃহবধূ হিসেবে মানতে নারাজ , জীবন নিয়ে মরণ দশা ইশা র। কি করবে কি না করবে এই নিয়ে শেষমেশ ভরোসা পুলিশ।

অন্যদিকে,যেমন পরকীয়ার মতো কিছু ঘটনায় কিছু পুরুষ নিজের নামের আগে প্রতারক যুক্ত করে ,তেমন মেয়েরা ও পরকীয়ার ফাঁদে পড়ে নষ্টা চরিত্রে পা বাড়াতে বাধ্য হয়। তাই এসবের যবনিকা টানতে হলে সুবিবাহ, পুরুষ নারীর চরিত্র আদর্শ জীবন গঠন করেই বিবাহ করলে পূর্ণতা থাকবে এমনটাই দাবী বিশ্লেষক মহলের।

“উন্নয়ন সু-প্রজনন এইতো বিয়ের মূল, যেমনি তেমনি বিয়ে করে করিস নাকো ভূল!”

বিবাহ বিধি সংশোধন ছাড়া নাই রেহাই পরকীয়ার!

পরকীয়ার কবলে ব্যতিব্যস্ত সাধারণ মানুষের অস্তিত্ব। চূর্ণ বিচূর্ণ বহু সংসার।