৩ ধাপে আমূল বদলাবে GST কাঠামো! কোন খাতে কীভাবে সুবিধা হবে সাধারণ মানুষের -জেনে নিন সবিশেষ

সংবাদ সংস্থা, ১৫ আগস্ট :- প্রধানমন্ত্রী জানান, আট বছর আগে সরকার বড় ধরনের সংস্কার করেছিল, যা ছিল একাধিক কর ও স্থানীয় শুল্ক একীভূত করে আনা জিএসটি ব্যবস্থা। এর ফলে সারা দেশে করের বোঝা কমানো ও কর প্রদানের প্রক্রিয়া সহজীকরণ সম্ভব হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

দীপাবলির আগে ‘বড় উপহার’! জিএসটি-তে (GST reforms) আসছে বড়সড় সংস্কার, কমবে করের বোঝা। দীপাবলির আগে দেশবাসীর জন্য সুখবর দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi)। আসছে ‘পরবর্তী প্রজন্মের’ জিএসটি সংস্কার, যা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের করের বোঝা কমাবে এবং কর কাঠামোকে আরও সহজ করবে। আসন্ন বৈঠকে জিএসটি কাউন্সিল এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। প্রধানমন্ত্রী মোদী বুধবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে

বলেন, “এবারের দীপাবলিতে আমি আপনাদের জন্য দ্বিগুণ আনন্দের উপহার নিয়ে আসছি। করের চাপ কমাতে এবং কর প্রক্রিয়া সহজ করতে আমরা নতুন জিএসটি সংস্কার আনছি।” সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সংস্কারের জন্য কেন্দ্র ইতিমধ্যেই একটি তিন-স্তম্ভ ভিত্তিক রূপরেখা তৈরি করেছে। প্রস্তাবটি মন্ত্রিসভা গোষ্ঠী (GoM)-এর কাছে পাঠানো হয়েছে, যা নিয়ে আলোচনা শেষে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

দাম নিয়ন্ত্রণ – মুদ্রাস্ফীতির চাপে বাড়তি খরচ সামলাতে সাধারণ মানুষের স্বস্তি।

প্রক্রিয়া সহজকরণ – কর প্রদানের প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ ও দ্রুত করা।

ভোগ বৃদ্ধি – কর কমলে বাজারে চাহিদা বাড়বে, অর্থনীতিতে গতি আসবে।

এককর নীতি শক্তিশালীকরণ – গোটা দেশে একই কর কাঠামো কার্যকর করা।

নিত্যপণ্যের দাম কমবে – খাদ্যপণ্য, গৃহস্থালি সামগ্রী ও পরিষেবার খরচ কমতে পারে।

ব্যবসায় সুবিধা – ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা সহজে কর দিতে পারবেন, সময় ও খরচ বাঁচবে।

অর্থনীতিতে চাঙ্গাভাব – উৎপাদন ও কর্মসংস্থান বাড়তে পারে।

দুর্নীতি রোধ – প্রযুক্তি-নির্ভর কর ব্যবস্থা ভুল হিসাব ও অনিয়ম কমাবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সংস্কার শুধু কর কাঠামো নয়, বরং দেশের অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। দীপাবলির আগে এই পদক্ষেপ সরকারের কাছে রাজনৈতিকভাবে বড় অর্জন হতে পারে।