সংবাদ সংস্থা, ১৬ জুলাই :-
2829 Species Found Living Beneath Antarctica Glacier :- ধীরে ধীরে পিছিয়ে যাচ্ছে আন্টার্কটিকা গ্লেসিয়ার। এটা এমনিতেই খুব বড় ধরনের একটা আবিষ্কার। কিন্তু এটা তো জানাই ছিল। যেটা নতুন জানা গেল, তাতে চমকে উঠল সকলে? কী সেটা? যেটা নতুন জানা গেল, যেটাতে সকলে আন্টার্কটিকা নিয়ে স্রেফ চমকে উঠছে, সেটা হল, ৩৪০০০ বছরের পুরনো বরফস্তরের নীচে মিলেছে ২৮২৯টি প্রজাতির প্রাণী! সূর্যের আলো পৌঁছোয় না, পুষ্টির উৎস নেই বা খুবই কম এবং তাপমাত্রা অতি কম! ওইরকম চরম আবহাওয়ার জায়গায় এত সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্যের সন্ধান পেয়ে রীতিমতো বিস্মিত বিজ্ঞানীকুল। এমনিতেই আন্টার্কটিকার মাটি খুব অবহেলিত। ‘গ্রেটলি আন্ডার এস্টিমেটেড’। গবেষকদের একজন ড. ডিরক ওয়াগনর এখানকার অনুজীবদের বিষয়টি নিয়ে খুবই উচ্ছ্বসিত। কেন বিজ্ঞানীরা আন্টার্কটিকা নিয়ে এত উচ্ছ্বসিত?
কারণ, এইরকম অনুজীব বা অন্য প্রজাতির প্রাণীর উপস্থিতির ক্ষেত্রে প্রকৃতির সঙ্গে কার্বনের রসায়নের বা কার্বনচক্রের একটা প্রমাণ মেলে। এটা স্থানীয় ইকোলজিকে সমৃদ্ধ করে। শুধু তাই নয়, ক্লাইমেট চেঞ্জ যে-যে প্রতিবন্ধকতা হাজির করে, সেটারও মোকাবিলা করার একটা পথ পাওয়া যায়। আন্টার্কটিকার বন্যজীবন বৈচিত্র্যময় এবং অনন্য। এটি পৃথিবীর একমাত্র মহাদেশ যেখানে কোনও স্থলজ স্তন্যপায়ী প্রাণী নেই। তবে এটি বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক বন্যপ্রাণী এবং পাখির আবাসস্থল। পেঙ্গুইনের ১৮টি ভিন্ন প্রজাতিও এখানে মেলে। আন্টার্কটিকার গভীর সমুদ্রের তলদেশে বিভিন্ন ধরনের অদ্ভুত এবং অজানা প্রাণী পাওয়া গিয়েছে। যেমন, সমুদ্রের শূকর, সামুদ্রিক মাকড়সা। একটি বিচিত্র প্রজাপতি-সহ আরও বেশ কিছু নতুন প্রজাতি আবিষ্কৃত হয়েছে। অ্যান্টার্কটিকার এই সব আবিষ্কার প্রমাণ করে, বরফের নীচেও একটি সমৃদ্ধ জীবন থাকতে পারে।আজ ও তার বিন্যাস মেলে সমুদ্র তলে।