সংবাদ সংস্থা, ০৭ আগস্ট :- নাসার প্ল্যানেটারি ডিফেন্স কোঅর্ডিনেশন অফিস এ ধরনের গ্রহাণুর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করেন। তাঁদের লক্ষ্য হল পৃথিবী থেকে বিপজ্জনক দূরত্বে থাকা কোনো গ্রহাণু বা মহাজাগতিক বস্তুকে চিহ্নিত করা। কাজটি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ যদি কোনো গ্রহাণু পৃথিবীর জন্য বিপদ ডেকে আনে, তবে আগে থেকেই সেটা জানা।
নাসা (NASA) একটি বিশাল আকারের গ্রহাণু সম্পর্কে সতর্ক করেছে বিশ্ববাসীকে। নাসার প্ল্যানেটারি ডিফেন্স কোঅর্ডিনেশন অফিস (Planetary Defense Coordination Office) এই পর্যবেক্ষণ করেছে। নাসা বলছে, এটি আগামীকাল পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে যাবে। এই গ্রহাণুটির নাম– 2023 HW3। এটি একটি আস্ত বাড়ির সমান আকারের! এর ব্যাস প্রায় ৩০০ ফুট। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এটি আমাদের গ্রহের দিকে ঘণ্টায় প্রায় ৩৪,২২১ কিলোমিটার গতিতে ধেয়ে আসছে। গতিবিধি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ!
নাসার প্ল্যানেটারি ডিফেন্স কোঅর্ডিনেশন অফিস এবং অন্যান্য বিজ্ঞানীরা এই ধরনের গ্রহাণুর গতিবিধি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করেন। তাঁদের লক্ষ্য হল পৃথিবী থেকে বিপজ্জনক দূরত্বে থাকা কোনো গ্রহাণু বা মহাজাগতিক বস্তুকে চিহ্নিত করা। এই কাজটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ভবিষ্যতে যদি কোনো গ্রহাণু পৃথিবীর জন্য বিপদ ডেকে আনতে থাকে, তবে তা আগে থেকেই জানা।
কক্ষপথের কাছাকাছি :-
এই বিশাল আকারের গ্রহাণুটির পৃথিবী থেকে দূরত্ব হবে প্রায় ৪.৯ মিলিয়ন কিলোমিটার। শুনতে অনেক হলেও, মহাজাগতিক স্কেলে এটি বেশ কম। নাসা এই ধরনের গ্রহাণুকে Near-Earth Objects বা NEO বলে থাকে। এই NEOs-র মধ্যে সেইসব গ্রহাণু ও ধূমকেতু পড়ে, যেগুলির কক্ষপথ পৃথিবীর কক্ষপথের কাছাকাছি চলে আসে।যেমন 2023 HW3 ।
নাসা জানিয়েছে, এই গ্রহাণুটি পৃথিবীর জন্য কোনো আচমকা বিপদ ডেকে এনেছে, এমন নয়। তবে এর গতি এবং আকারের কারণে এটি বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণেই থেকেছে। নাসার সেন্ট্রি সিস্টেম, যা এক অত্যাধুনিক সংঘর্ষ পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা, স্বয়ংক্রিয়ভাবে আগামী ১০০ বছরের জন্য গ্রহাণুদের সঙ্গে সম্ভাব্য সংঘর্ষের ঝুঁকির তথ্য বিশ্লেষণ করে। এই সিস্টেমের তথ্য বলছে, 2023 HW3 গ্রহাণুর পৃথিবীতে আঘাত হানার কোনো সম্ভাবনা নেই।
মহাজাগতিক :-
বিজ্ঞানীরা এই ধরনের মহাজাগতিক বস্তুর গতিপথ, আকার এবং সম্ভাব্য ঝুঁকি নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের মূল উদ্দেশ্য হল যদি কোনো মহাজাগতিক বস্তু ভবিষ্যতে পৃথিবীর জন্য বিপদ ডেকে আনার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করে, তবে আগাম তার মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত থাকা। এর মধ্যে রয়েছে গ্রহাণুর গতিপথ পরিবর্তনের মতো প্রযুক্তি নিয়ে কাজও। অতএব, যদিও এই গ্রহাণুটি পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে যাচ্ছে, তথাপি মানবজাতির ভয়ের তেমন কোনো কারণ এর থেকে নেই। বিজ্ঞানীরা সম্পূর্ণ সতর্কতার সঙ্গে এর গতিবিধির উপর নজর রেখেছেন।