সংবাদ সংস্থা, ২১ জুলাই :- ফের ভয়াবহ বিমান দূর্ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ভারত সহ পার্শ্ববর্তী সবকটি দেশে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা তে আকস্মিক বিমান ক্র্যাসে মৃত্যু ১৯ জনের। গুরুতর অবস্থায় ৬০ জন আহত। বর্তমানে ঢাকা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁরা।

ঢাকায় ফিরল ভারতের গুজরাট আমদাবাদের স্মৃতি! দুর্ঘটনায় পুড়ে খাক ১৯ জন, ১৬ পড়ুয়া, ০২জন শিক্ষক ও ১জন পাইলট।ঢাকায় বিমান দুর্ঘটনার ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে ৬০ জন হাসপাতালে ভর্তি। ঢাকার উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ হওয়া অন্তত ৬০ জনকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

আহতদের মধ্যে যারা কম গুরুতর, তাদের এই হাসপাতালেই রাখা হয়েছে। তবে যারা এসেছেন, সবার শরীরেই দগ্ধ হওয়ার চিহ্ন রয়েছে। সোমবার দুপুরে ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমান বাহিনীর ‘এফ-৭ বিজিআই’ মডেলের বিমানটি ঢাকার উত্তরা মাইলস্টোন কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়। বিকট শব্দ ও আগুনের গোলায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, অভিভাবকরা ছুটে আসেন সন্তানদের খোঁজে। ঢাকার উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. অমল কান্তি নাথ বলেন, আমাদের এখানে বহু আহতকে আনা হয়েছে। যাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক, এমন অন্তত ৬০ জনকে আমরা বার্ন ইউনিটে রেফার করেছি। কম গুরুতরদের এখানে চিকিৎসা চলছে। যারা আসছেন, তাদের সবার শরীরেই পোড়ার চিহ্ন রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অনেকের হাত-পা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ দগ্ধ হয়েছে। কিছু রোগীর শ্বাসনালিতেও ধোঁয়ার প্রভাব পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গুরুতরদের দ্রুত রেফার্ড করায় সময়মতো চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব হয়েছে। জানা গেছে, দুর্ঘটনার সময় মাইলস্টোন স্কুলের প্রথম থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস চলছিল। হঠাৎ বিকট শব্দ ও বিস্ফোরণে ছাত্রছাত্রীরা দিশেহারা হয়ে পড়েন। অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন, কেউ কেউ রুম ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। খবর ছড়িয়ে পড়তেই অভিভাবকরা ছুটে আসেন সন্তানদের খোঁজে। কলেজের সামনে তৈরি হয় উদ্বিগ্ন অভিভাবকদের সারি। যে ভবনটিতে বিমান বিধ্বস্ত হয় সেখানে দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস হতো। তবে, ক্লাস শেষ হওয়ার পর অর্থাৎ ছুটি হওয়ার পর বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। তখন সেখানে কোচিংয়ের ক্লাস চলছিল। ভেতরে প্রায় ১০০ থেকে দেড়শো জন শিক্ষার্থী ছিলেন। অনেকে হতাহত হয়েছেন। এদিকে বাংলাদেশের

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ১৬ জনের মৃতদেহ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং এদের মধ্যে একজন হলেন বিমানটির পাইলট তৌকির ইসলাম সাগর। রাজধানী ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে বাংলাদেশে। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং বাংলাদেশের এই শোকাবহ মুহূর্তে সংহতি প্রকাশে আগামীকাল মঙ্গলবার শোক পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। সোমবার বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়। এদিকে পরপর বিমান দুর্ঘটনার খবরে আতঙ্ক বিরাজ করছে বিমান যাত্রী বা বিমান প্রেমীদের। অনেকেই এবার বিমানে যাত্রা থেকে বিরত থাকতে চাইছে।মাত্রাতিরিক্ত বিমান দুর্ঘটনার পেছনে কি রহস্য ? না যান্ত্রিক, না কন্ট্রোল সেন্টারের ভূল পরিচালনা?? তা নিয়ে আতঙ্ক এবং সন্দেহ দুটোই ঘুরপাক খাচ্ছে বিমান প্রেমীদের মনে!
