আমেরিকার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি ‘বাতিল’ ভারতের! কি হবে পরবর্তী পদক্ষেপ চিন্তায় বুদ্ধিজীবী!
সংবাদ সংস্থা, ০৭ আগস্ট :- বিবৃতি জারি করে ভারত তার অবস্থান স্পষ্ট করেছে। যেখানে এটা স্পষ্ট যে, ভারত কোনওভাবেই মাথা নত করবে না। পি-৮আই চুক্তি কী?
ট্রাম্পের ভাষাতেই ট্রাম্পকে জবাব (India replies back US)। রাশিয়া থেকে তেল কেনায় ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Trump impose tariff on India)। আমেরিকায় চাকরিরত ও পড়ুয়াদের জন্য H1B ভিসা নিয়মেও আসছে বদল! এবার পাল্টা মোদীর। আমেরিকার সঙ্গে ৩১,৫০০ কোটি টাকার চুক্তি আপাততো বাতিল করে দিয়েছে ভারত (India cancels deal with US)। কূটনীতিকরা বলছেন, ‘৫৬ ইঞ্চি’র ৫০ শতাংশের শুল্কের বদলা!
পি-৮আই চুক্তি
এককথায় টিট-ফর-ট্যাট! ইঁটের জবাব পাটকেলে! রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করায় ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে আমেরিকা। এবার ভারত আমেরিকার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ পি-৮আই চুক্তি (P-8I deal) স্থগিত করে দিয়েছে। রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করার জন্য বুধবারই ভারতীয় পণ্যের উপর অতিরিক্ত আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করেন ট্রাম্প। আগামী ২৭ অগাস্ট থেকে ভারতকে আমেরিকায় পণ্য রফতানি করতে হলে অতিরিক্ত দিতে হবে ৫০ শতাংশ শুল্ক।
মাথা নোয়াবে না ভারত,
এবার ভারতও পাল্টা জবাব দিলো। বিবৃতি জারি করে ভারত তার অবস্থান স্পষ্ট করেছে। যেখানে এটা স্পষ্ট যে, ভারত কোনওভাবেই মাথা নত করবে না। ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে রাশিয়াও। রাশিয়াও জানিয়েছে, যেকোনও দেশের স্বাধীনভাবে তার বাণিজ্যসঙ্গী বেছে নেওয়ার অধিকার রয়েছে। তাই এভাবে ট্রাম্প হুমকি দিতে পারেন না। আমেরিকা শুল্ক চাপাতে পারে না।
P-8I Poseidon বিমানের বিশেষত্ব
ভারত তার নৌবাহিনীর জন্য সমুদ্রে নজরদারি চালাতে মার্কিন বোয়িং কোম্পানির কাছ থেকে ৬টি P-8I Poseidon বিমান কেনার চুক্তি করেছিল। ভারতের বিশাল সামুদ্রিক সীমানা অঞ্চলের জন্যই এই জাতীয় বিমানের প্রয়োজন। অত্যন্ত আধুনিক এবং উন্নত এই P-8I Poseidon বিমান। P-8I Poseidon-এর NASM-MR অ্যান্টি-শিপ মিসাইলের পাল্লা ৩৫০ কিলোমিটার। আরব সাগর থেকে ভারত মহাসাগর পর্যন্ত চিনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের উপর নজর রাখার জন্যই এই বিমানগুলি কেনার পরিকল্পনা করে ভারত।
বোয়িংয়ের জন্য ধাক্কা!
ভারতীয় নৌবাহিনীর কাছে এখন ১২টি P-8I বিমান আছে। ২০০৯ সালে ভারত প্রায় ২.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ১৯,০০০ কোটি টাকা) দিয়ে ৮টি বিমান কেনে। এরপর ২০১৬ সালে আরও ৪টি বিমান প্রায় ৮,৫০০ কোটি টাকায় কেনে। এবার যদি ৩১,৫০০ কোটি টাকার (প্রায় ৩.৭৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) এই চুক্তি সম্পূর্ণরূপে বাতিল হয়ে যায়, তাহলে নিঃসন্দেহে এটি বড় ধাক্কা হতে চলেছে মার্কিন কোম্পানি বোয়িংয়ের জন্য।
মোদ্দাকথা,ভারত বনাম আমেরিকার অর্থনৈতিক লড়াই সাধারণ মানুষের অস্তিত্বে আঘাত করবে কি? এনিয়ে ধোঁয়াশা থাকছেই!