সংবাদ সংস্থা, ৩০ জুলাই :- নিহতের কাকিমা জানান, ও বাবা-মায়ের সঙ্গে প্রায় ঝগড়া করতো। অবাধ্য ছিল একমাত্র ছেলে টি। ঘটনার সময় আমি তাদের থামানোর চেষ্টা করেছি, কিন্তু পারিনি । গতকাল বিকেলের দিকে থানায় এসে ঢুকলেন বিধ্বস্ত জাফর গাজি ও তার স্ত্রী নাজমা বেগম। নির্বিকারে বলে ফেললেন, একমাত্র ছেলেকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছি। আর কোনও উপায় ছিল না। দম্পত্তির কথা শুনে “থ” বাংলাদেশের বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ। পুলিস লাশ উদ্ধার করে বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসে। সেখানে চিকিৎসক জাফর গাজির ছেলে হাসানকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
মঙ্গলবার দুপুরে পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভরপাশা এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে বলে বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান। নিহত হাসান গাজী (২০) ভরপাশা এলাকার জাফর গাজী এবং নাজমা বেগমের একমাত্র ছেলে। প্রতিবেশী সুরুজ ও স্বজন শাহজাহান জানান, জাফর ও নাজমার দুই মেয়ে ও এক ছেলে। মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে। ছেলেটি মাদকাসক্ত। নেশার টাকার জন্য বাবা-মাকে প্রায়ই মারধর করত।
এদিন দুপুরে ৫ হাজার টাকার জন্য ঘরে ভাঙচুর করে বাবা জাফর গাজীকে মারধর শুরু করে হাসান। তখন নাজমা এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। নাজমা ছেলের হাত ধরে আটকে রাখে। সেইসময় বাবা জাফর গিজি ছেলেকে একটি পাইপ দিয়ে মারধর করে। এতে ঘটনাস্থলেই ছেলে হাসান মারা যান। পরে স্বামী-স্ত্রী দুজন থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে। প্রশ্ন হলো এমনটা কুলাঙ্গার সন্তানের জন্ম কি করে হলো? জন্ম চকে কি শাস্ত্রীয় কোন ভূল রয়েছে!তা এবার জল্পনার বিষয়।