চালকদের অভ্যাসে পরিবর্তন চাই: বৈধ কাগজ প্রয়োজন পুলিশ কে টাকা নয় সঠিক কাগজ দেখান গাড়ি চালান
যুব বিচিত্রা প্রতিনিধি, শিলচর ২৯ জুলাই: বরাক – ব্রহ্মপুত্রের সমন্বয় সড়কের গ্যামন সেতুর উপর দিয়ে লরি পারাপারে দেওয়া হয়েছে ওভারলোড এর উপর নিষেধাজ্ঞা।আর এই সেতু র উপর দিয়ে ওভারলোড লরি র রুটিন চেকিং এর দায়িত্ব রয়েছে কাছাড় পুলিশের। ওভারলোড লরি চেকিং র সময় ঘটে গেল এক ঘটনা,যার ভিডিও ভাইরাল হয়ে গেছে সামাজিক মাধ্যমে! তবে কতটুকু সত্য – অসত্য তাঁর সম্পূর্ণ প্রতিক্রিয়া সংবাদ মাধ্যমের সামনে তুলে ধরে ভুক্তভোগী পুলিশ কনস্টেবল:
সম্প্রতি গ্যামন সেতুতে একটি লরির চালক তাঁর লরির বৈধ কাগজ দেখাতে এসে জনৈক পুলিশ কর্মী কে ১০০ টাকার নোট দিয়েছে এবং সেই নোট পুলিশ কর্মী চালককে ফেরত দিয়েছে।
এমতাবস্থায় চালকের ১০০ টাকা পুলিশ কর্মী কে দেওয়ার সময় কে বা কাহারা ভিডিও ফুটেজ তৈরী করেছে কিন্তু টাকা ফেরত দেবার সময় ভিডিও তে অন্তর্ভূক্ত না করে এক তরফা প্ররোচনামূলক ষড়যন্ত্র করে পুলিশের বদনাম রটানো ভিডিও ভাইরাল করে প্রশ্ন তুলেছে নিরপেক্ষতার! এমনটাই ক্ষোভের সুরে তোপ দাগলেন জনৈক পুলিশ কনস্টেবল।
ভাইরাল হওয়া ভিডিও র সত্যতা যাচাই করে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন ই সমাজের কাজে লাগবে এমনটা বললেন পুলিশ কর্মী।
ভাইরাল হয়েছে, যেখানে এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ তোলা হয়েছে। আজ এই প্রসঙ্গে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা নিজেই সাংবাদিক দের সামনে পুরো ঘটনার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন এবং অভিযোগকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন।
সাংবাদিক দের তিনি বলেন “ঘটনাটি ঘটে যখন আমি ও পাঁচজন পুলিশ কর্মী গ্যামন সেতু এলাকায় সকালের নিয়মিত ডিউটিতে ছিলাম। সেই সময় কাটিগড়া থেকে একটি ১২ চাকার গাড়ি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে বদরপুর এর উদ্যেশ্যে যায়। তখন এক উপজাতি ব্যক্তি এসে ১০০ টাকার একটি নোট দেন। আমি তাঁকে কাঁটা চালান নিয়ে আসতে বলি। চালান দেখে দেখা যায় মালটির পরিমাণ ৩২ টন। চালান যাচাইয়ের পর সঙ্গে সঙ্গে ওই ব্যক্তি কর্তৃক দেওয়া টাকা ও চালান ফিরিয়ে দিই।”
কিন্তু সেখানে “যারা ভিডিও করেছেন, তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শুধু টাকা দেওয়ার অংশটুকু ভাইরাল করেছে। কিন্তু টাকাটি ফিরিয়ে দেওয়ার মুহূর্তটি ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দেওয়া রেখেছে। এটি একটি ষড়যন্ত্রমূলক প্রচেষ্টা, যার উদ্দেশ্য আমাদের পুলিশ বিভাগের বদনাম রটানো।”

নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে তিনি বলেন, “সামান্য ১০০ টাকার জন্য কোনও পুলিশ কর্মকর্তা তাঁর দায়িত্ব বিস্মৃত হবেন না। আমরা সততার সঙ্গে কর্তব্য পালন করে চলেছি এবং ভবিষ্যতেও করবো। সরকার আমাদের বেতন দেয় আর আমরা তাতেই সন্তুষ্ট বললেন মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত জনৈক পুলিশ কর্মী।
এবার চালকদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে কাগজপত্র বৈধ থাকলেও পুলিশ কে চাঁদা? কেন সেই মনোবৃত্তি র পরিবর্তন হবে না? চালকদের সচেতন হতে হবে মনোবৃত্তি পরিবর্তন করতে হবে বৈধ কাগজ নিয়ে সরকারের নিষেধাজ্ঞা পালন করে লরি চালানোর পরামর্শ দেন: এবং টাকা দেওয়ার প্রথা যেন চালকরাই নিজের থেকে বন্ধ করে দেয় এমনটা পরামর্শ দিল সচেতন মহল ও কিছু মালিক পক্ষ।