বরাক উপত্যকার প্রতিটি প্রান্তে উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয় বাঙালির ঐতিহ্যের পরম্পরা মেরামেরি তথা মকর-সংক্রান্তি।

যুব বিচিত্রা প্রতিনিধি, শিলচর ১৪ জানুয়ারি: মেরামেরির রাতে অস্থায়ীভাবে খড়কুটো দিয়ে তৈরি করা হয় মেরামেরির ঘর। ছোট-বড়োরা মিলেমিশে গান-বাজনা আমোদপ্রমোদ করতে থাকে এই মেরামেরির রাতে। চলে সাধ্য অনুযায়ী খাওয়া-দাওয়া। পরের দিন সকালে ওঠে স্নান সেরে ঘরটাকে আগুনে জ্বালিয়ে দিয়ে এর চারপাশ ঘিরে পৌষসংক্রান্তির পিঠা খাওয়া মেরামেরির একটি রীতি, যা আজ ও অব্যাহত।


মহাভারত–এর অনন্য চরিত্র ভীষ্মের ছিল ইচ্ছামৃত্যুর শক্তি। উত্তরায়ণ আসার আগে শরশয্যায় ৫৮ দিন কাটিয়ে পৌষসংক্রান্তিতে তিনি দেহত্যাগ করেন। তাঁর স্মরণেই নাকি তৈরি হয় মেরামেরি ঘর এমনটাই প্রচলিত বাক্যে আজ ও পরিলক্ষিত পরম্পরা বজায় রাখতে।বাঙালি রা যেমন মেরামেরী বা পৌষপর্ব তথা মকর সংক্রান্তি। অন্যদিকে অসমীয়া সমাজের অন্যতম বিহু ই হলো মাঘ বিহু। মাঘ বিহু মানে ই খাওয়া দাওয়া আর বিহু নৃত্যের ভরপুর আনন্দ উপভোগ। সবমিলিয়ে উৎসব যার যার আনন্দ সবার।