যুব বিচিত্রা প্রতিনিধি, ধর্মনগর ১৩ জুলাই :- ত্রিপুরা বিজেপি তে শুরু হলো ধ্বস নামা। সামনে রয়েছে অসম সহ বেশকটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। অন্যদিকে পার্শ্ববর্তী রাজ্য ত্রিপুরায় ইতিমধ্যে বিজেপি ত্যাগ , কংগ্রেসে যোগদান এক প্রশ্নের উত্থাপন করবে বলে ধারণা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। ত্রিপুরা য় আজ বিজেপি ত্যাগ করে কংগ্রেসে যোগদান করেন সক্রিয় তিন সদস্য। এদিকে, শাসকদলের বিরুদ্ধে চরম ক্ষোভ উগড়ে দেয় বিরোধী দল কংগ্রেস। রাজ্যে অনৈতিক কর বৃদ্ধি, স্মার্ট মিটার বসিয়ে বিদুৎ বিল বৃদ্ধি সহ জনস্বার্থ বিরোধী পরিকল্পনা নিয়ে শাসকদলের তুলোধুনো করলেন বিরোধী দল কংগ্রেস। রবিবার দুপুর ১. ৩০ মিনিটে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এক সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ধর্মনগর কংগ্রেস ভবনে। এখানে উপস্থিত ছিলেন কিষাণ কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি তথা প্রাক্তন বিধায়ক অশোক বৈদ্য, কংগ্রেস নেতা চয়ন ভট্টাচার্য, উত্তর জেলা যুব কংগ্রেস সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, ইন্দ্রজিৎ পাল, কেবল নন্দী, হীরালাল দেবনাথ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা। সভার পর জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে আশীষ কুমার সাহা জানান, রাজ্য সরকার যেভাবে করের বোঝা বাড়াচ্ছে ও স্মার্ট মিটার বসানোর নামে জনজীবনে ভোগান্তি তৈরি করছে, তা মেনে নেওয়া যায় না। জনগণের প্রতুত্তরে জবাব দেবে শাসক দল। তিনি বলেন, “ত্রিপুরায় শাসক বিজেপি সরকার একদিকে স্মার্ট মিটার বসাতে ব্যস্ত, অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে বিরোধী বিজেপি সেই মিটার বিরোধিতা করছে। এদিন বিজেপি ত্যাগ করে তিনজন কর্মী কংগ্রেসে যোগ দেন। তাঁরা হলেন


– যুবরাজনগর মন্ডলের প্রাক্তন সভাপতি রামকৃষ্ণ সিনহা, যুবরাজনগর বিধানসভা এলাকার টুপির বন্ধ পঞ্চায়েতের আকমল হোসেন এবং পানিসাগর বিধানসভার পদ্যবিল গ্রামের আজির উদ্দিন। তাঁদেরকে দলীয় উত্তরীয় ও পতাকা দিয়ে স্বাগত জানান প্রদেশ সভাপতি আশীষ কুমার সাহা ও জেলা নেতৃত্বরা।মোট কথা রাজ্যে নির্বাচন প্রাক মুহুর্তে জনস্বার্থ নীতি বিরোধী পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নে সঠিক জবাব দেবে আমজনতা দাবী কংগ্রেসের।