বিবাহিত হিন্দু মহিলাদের শাঁখা-সিঁদুর বাধ্যতামূলক, সনাতনী রায়দান গৌহাটি উচ্চ ন্যায়ালয়ের

যুব বিচিত্রা প্রতিনিধি গুয়াহাটি, ৬জুলাই :- বিবাহিত হিন্দু মহিলাদের শাখা ও সিঁদুর ব্যবহার বাধ্যতামূলক। একজন বিবাহিত হিন্দু মহিলা যদি শাখা ও সিঁদুর ব্যবহারে অসম্মতি জানান, এ-ক্ষেত্রে স্বামী বিবাহ বিচ্ছেদ চাইলে তা গ্রাহ্য বলে গণ্য হবে। গৌহাটি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অজয় লাম্বা এবং বিচারপতি সৌমিত্র শইকিয়া বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত এক মামলায় এই রায় জানান। তাঁরা বলেন, কোনও বিবাহিত হিন্দু মহিলা শাঁখা ও সিঁদুর ব্যবহারে আপত্তি জানালে এর মানে দাঁড়াবে তিনি স্বামীকে অস্বীকার করছেন। তিনি যে একজন বিবাহিত মহিলা, এই সত্যটাকেই অস্বীকার করছেন। তাঁরা আরও বলেন, বিয়ের পর হিন্দু মহিলাদের শাঁখা ও সিঁদুর ব্যবহার করা প্রাচীন রীতি। এটাকে অস্বীকার করা যায় না। এই রীতি না-মানলে স্বামী যদি বিবাহ বিচ্ছেদ চান, তাহলে সেটা মোটেই অযৌক্তিক নয়।

এইবার গৌহাটি উচ্চ ন্যায়ালয়ের সনাতনী চিন্তা ভাবনায় বুদ্ধিজীবী মহলের পক্ষে সাধুবাদ জানান এই রায় ঘোষণার পর। বিচারপতিদ্বয় আরো উল্লেখ করেন, বিষয়টি স্বামীকে হেনস্তা করার পর্যায়ে পড়ে। এখানে আরও উল্লেখ্য, এক হিন্দু দম্পতির বিয়ে হয়েছিল ২০১২ সালে। কিন্তু বিবাহের কয়েক মাসের মধ্যে স্বামীর বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর নির্যাতনের অভিযোগ এনে ওই মহিলা ৪৯৮ (এ) ধারায় মামলা করেন। তার আরও যুক্তি, তিনি ছোট পরিবারে বাস করতে চান। কিন্তু তাঁর স্বামী এই মামলার বিরুদ্ধে গৌহাটি হাইকোর্টে পাল্টা মামলা দায়ের করে জানান, স্ত্রী শাঁখা ও সিঁদুর ব্যবহার করতে রাজি নন। পুরো পরিবারের সঙ্গে থাকতে চান না। ভারতীয় রীতিনীতি বা সনাতনী সংস্কারে বিশ্বাসী নন। এই অবস্থায় বিবাহ বিচ্ছেদে যাওয়া ছাড়া বিকল্প পথ খোলা নেই।এমনি এক মামলায় গৌহাটি উচ্চ ন্যায়ালয়ের বিচারপতির একটি ডেস্ক পুরুষের সনাতনী সংস্কারের পক্ষে ই রায়দান করলেন এবং ঘোষণা দিলেন যে, হিন্দু বিবাহিত মহিলারা শাঁখা সিঁদুর ব্যবহার না করলে বিবাহ বিচ্ছেদ এর আবেদন পুরুষ করতেই পারে এবং তা গ্রাহ্যই হবে। সনাতনী প্রাচীন রীতিনীতি র উর্ধে উঠে আধুনিকীকরণ নয় বললেন আদালত।