অসম এবং ত্রিপুরায় দৌরাত্ম্য বেড়েছে ফেসবুক এবং ইউটিউব সাংবাদিকদের, নিয়ন্ত্রণ নাই সম্প্রচার বিভাগের।

বিশেষ প্রতিনিধি, নতুন দিল্লি,২০জুন: উত্তর পূর্বাঞ্চলের অসম এবং ত্রিপুরা রাজ্যে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে ফেসবুক আর ইউটিউব মিডিয়া। দৌরাত্ম্য রোধে কেন্দ্র সরকারের হস্তক্ষেপ সংশ্লিষ্ট মহলের। দিনের পর দিন হাতে এন্ডরয়েড মোবাইল নিয়ে ই শুরু সাংবাদিক গিরি,আর সেই তো গ্রামাঞ্চলে র বলিষ্ঠ সাংবাদিক। এতে মার খাচ্ছে মূল স্রোতে কর্মরত সাংবাদিকদের ভূমিকা। ইচ্ছা এবং উন্নত চিন্তা চর্চার অবনতি ঘটাচ্ছে তাঁরাই!অসম এবং ত্রিপুরায় এমনটাই বেশি চোখে পড়ছে। তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা এবং ধর্মনগরে দিন দিন উই পোকার মতো বেড়ে চলেছে ফেসবুক এবং ইউটিউব সাংবাদিকদের সংখ্যা।

ধর্মনগরে এখন সাংবাদিকতা যেমন প্রতিযোগিতার মঞ্চ হয়ে দাড়িয়েছে যে যার ব্যক্তি পর্যায়ে নিজস্ব একাউন্ট খোলে নিজেকে সাংবাদিক বলে দাবি করছে। অনেকে নিজেদের তৈরি কার্ড ঝুলিয়ে বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠানে প্রবেশ করেছেন এবং নিজেকে সাংবাদিক বলে বিভিন্ন সরকারি সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সবথেকে দুর্ভাগ্যের কথা হচ্ছে অনেকে বেআইনি প্রভাব খাটানো, অসামাজিক কাজকর্মে এবং কেউ কেউ তোলা / দোলা আদায়ে জড়িয়ে পড়ছেন,এমন ও অভিযোগ উঠে আসছে। যার ফলে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে প্রকৃত তথা মূল স্রোতের সাংবাদিকদের। এইদিকে প্রশাসন বা সরকারের কোন ভূমিকা না থাকায় উদ্বিগ্ন সচেতন নাগরিক। হস্তক্ষেপ কামনা তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগের।এদিকে অসমের বরাক উপত্যকা এবং গৌহাটি সহ বেজায় শহরের হাল এমনটাই। হাতে মোবাইল তো সেই মহান সাংবাদিক। তাই এই হকিকত হাল পরিবর্তন একান্তই জরুরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন কেন্দ্র সরকারের, অন্যথায় ব্যাহত হবে নির্ভূল নিরপেক্ষ উন্নত চিন্তা চর্চার মাধ্যম প্রকৃত নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা।