আন্ত: রাষ্ট্র নেপাল এর সঙ্গে ও সুকৌশলী যোগাযোগ গড়তে সক্রিয় উত্তর পূর্ব রেল
বিশেষ প্রতিবেদন মালিগাঁও, ১৮জুন: উত্তর পূর্ব রেলের তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ। কাটিহার ডিভিশনের অধীনস্থ বিহারের পিছিয়ে পড়া যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বিভিন্ন অঞ্চল কে রেলপথে যুক্ত করতে তৎপর কেন্দ্র সরকার সহ উত্তর পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ। তাদের সদর্থক ভূমিকায় স্পিড ট্রায়াল সহ আরারিয়া গলগলিয়া নতুন ব্রডগেজ লাইন প্রকল্প পরিদর্শন করলেন উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার (নির্মাণ শাখা)র অরুণ কুমার চৌধুরী।
১৬ জুন ২০২৫ তারিখে আরারিয়া-গলগলিয়া নতুন ব্রডগেজ (বিজি) লাইন রেল প্রকল্পের একটি বিস্তির্ণ অঞ্চল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের কাটিহার ডিভিশনে আরারিয়া এবং ঠাকুরগঞ্জের মধ্যে নবনির্মিত লাইনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পরিদর্শনকালে আরারিয়ার সাংসদ প্রদীপ কুমার সিং সহ উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের অন্যান্য বরিষ্ঠ আধিকারিক গণ উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শনের অংশ হিসেবে, ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে সফলভাবে একটি হাই-স্পিড ট্রায়াল রান করা হয়, ফলে নতুন স্থাপিত ট্যাকের প্রস্তুতি এবং গুণগতমান প্রদর্শন হয়।


আরারিয়া কোর্ট থেকে ঠাকুরগঞ্জ পর্যন্ত ১১০.৭৫ কিলোমিটার বিস্তৃত আরারিয়া-গলগলিয়া বিজি লাইন প্রকল্প একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যার উদ্দেশ্য বিহার এবং সংলগ্ন অঞ্চলে রেল যোগাযোগ এবং পরিচালন দক্ষতা বৃদ্ধি করা, যা ২০২৫-এর মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে। উইন্ডো ট্রেইলিং পরিদর্শনের সময়, জেনারেল ম্যানেজার সম্পূর্ণ প্রকল্পের পরকাঠামোগত কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন। আরারিয়া-আরারিয়া কোর্ট-রহমতপুর (৮.২৪ কিমি) এবং পাওয়াখালী-ঠাকুরগঞ্জ (২৩.২৪ কিমি) সেকশন যথাক্রমে ২০২৪-এর এপ্রিল এবং নভেম্বর মাসে ইতিমধ্যেই চালু করা হয়েছে। রহমতপুর-পাওয়াখালী (৭৯.২৭ কিমি) এর মধ্যে অবশিষ্ট সেকশনটি এখন চালু হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে, যা পুরো প্রকল্পটি সম্পন্ন করবে।

এই প্রকল্পেটিতে রয়েছে ৬৪টি মেজর ব্রিজ, ২৬৪টি মাইনর ব্রিজ এবং ১৫টি রেলওয়ে স্টেশন নির্মাণ, যা সম্পন্ন করা ইঞ্জিনিয়ারিং কাজের মাত্রা এবং জটিলতা প্রতিফলিত করে। এই কাঠামোগুলি করিডোরের মেরুদণ্ড, যা সমগ্র রুটে বাধাহীন সংযোগ এবং পরিচালনগত সুরক্ষাকে নিশ্চিত করে। এই রেলওয়ে লাইনটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন সংযোগ হিসেবে কাজ করবে, যা বিহারের দূর-দূরের এবং সুবিধাবঞ্চিত তৎসঙ্গে রেলপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অঞ্চলগুলিকে জাতীয় রেলওয়ে গ্রিডের সাথে সংযুক্ত করবে। এর উদ্দেশ্য যাত্রী ও মালবাহী গাড়ির সুগম পরিবহন, পর্যটনকে উৎসাহিত এবং ব্যবসা – বাণিজ্য বৃদ্ধি করে আঞ্চলিক বিকাশকে গতি প্রদান করবে। তাছাড়া, নেপালের সাথে আন্তঃসীমান্ত সংযোগ বৃদ্ধির জন্য এর কৌশলগত গুরুত্ব রয়েছে। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে সুরক্ষার সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করে এই পরিবর্তনকারী প্রকল্পটিকে নির্ধারিত সময়সূচীর মধ্যে সম্পন্ন করতে উত্তর পূর্ব রেল সদা তৎপর রয়েছে বলে জানান উত্তর পূর্ব রেল।