গুপ্তধনের সন্ধান! বাড়িতেই নগদ দেড় কোটি! থরে থরে সাজানো সোনার কয়েন-বিস্কুট! সরকারি বন আধিকারিক এর আকাশছোঁয়া সম্পত্তি!

সংবাদ সংস্থা, ২৫ জুলাই :- ভুবনেশ্বর ও জয়পুরের মোট ৬টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। রামা চন্দ্র নেপক ওড়িশার জয়পুর ফরেস্ট রেঞ্জের ডেপুটি রেঞ্জার এর ব্যাংলোয়।

ডেপুটি রেঞ্জারের বাড়িতে উদ্ধার তাড়া তাড়া নোটের বান্ডিল (Cash recovered)। উদ্ধার সোনার বিস্কুট, কয়েন থেকে বালা। যা দেখে চক্ষু ছানাবড়া ভিজিল্যান্স অফিসারদের। একজন সরকারি কর্মীর বাড়িতে এত টাকা ও সম্পত্তির পাহাড়! যার নগদ মূল্য প্রায় দেড় কোটি! ওড়িশার বন দফতরের ডেপুটি রেঞ্জার রামা চন্দ্র নেপক। এদিন রামা চন্দ্র নেপকের সঙ্গে যোগ রয়েছে এরকম ৬টি জায়গায় রেইড করে ওড়িশার ভিজিল্যান্স ডিপার্টমেন্ট।ভুবনেশ্বর ও জয়পুরের মোট ৬টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। তল্লাশিতেই উদ্ধার হয় আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি। সেইসঙ্গে উদ্ধার হয় নগদ ১ কোটি ৪৪ লাখ। মিলেছে ৪টি সোনার বিস্কুট। ১০ গ্রাম ওজনের ১৬টি সোনার কয়েন। এখনও চলছে তল্লাশি। রামা চন্দ্র নেপক ওড়িশার জয়পুর ফরেস্ট রেঞ্জের ডেপুটি রেঞ্জার। জয়পুরের একটি অ্যাপার্টমেন্টে তাঁর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে এই বিপুল পরিমাণে নগদ। নগদ মেলার পরই নিয়ে আসা হয়েছে টাকা গোনার মেশিন। চলছে টাকা গোনার পালা। বাড়ি-অফিস-শ্বশুরবাড়িতে তল্লাশি।বাদ নেই তাঁর কোন ও জায়গায়।

ওই একই অ্যাপার্টমেন্টে রামা চন্দ্র নেপকের আরও ফ্ল্যাট রয়েছে। সেখানে তল্লাশি চলছে। জয়পুরের পৈতৃক জমিতেও তাঁর বাড়ি আছে। সেখানেও তল্লাশি চলছে। তল্লাশি চলছে তাঁর অফিস, জয়পুরে তাঁর শ্বশুরবাড়ি ও ভুবনেশ্বরে তাঁর ভাইয়ের ফ্ল্যাটেও। এই নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে বন দফতরের দ্বিতীয় কোনও অফিসারের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হল। গত সপ্তাহে কেওনঝড়ের একজন ডিএফও-র বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশিতে তাঁর নামে ১১৫ খানা জমির প্লট, ২০০ গ্রাম সোনা ও বন্দুক উদ্ধার হয়। মেলে দেড় লাখের বেশি নগদ। একটা চারতলা বাড়ি, দুটো গাড়ি, ৪টে বাইক। সেইসঙ্গে টিক গাছের কাঠ দিয়ে তৈরি শিল্পসামগ্রী। কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি উদ্ধার হয় তল্লাশিতে। একজন সরকারি অফিসার হিসেবে সর্বোচ্চ সম্পত্তির মালিক ছিলেন তিনি।