ধর্মনগর স্টেশনে থমকে গেল আইনশৃঙ্খলার গতি! চরম ব্যর্থতা জনসমক্ষে
যুব বিচিত্রা প্রতিনিধি ধর্মনগর, ১৬জুন :- আইন রক্ষক না কি আত্মবিশ্বাসে ফাঁকিবাজ? নাকি ড্রাগিস্ট দের সহযোগিতায় ভূমিকা! প্রশ্ন সর্বত্র। ধর্মনগর রেল পুলিশের হেফাজত থেকে নাটকীয়ভাবে পালায় এক কুখ্যাত ড্রাগিস্ট অর্থাৎ অবৈধ নেশা সামগ্রী পাচারকারী। ঘটনাস্থলেই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলেও,রেলযাত্রীদের তৎপরতায় শেষমেশ ফের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় অভিযুক্তকে। এই ঘটনায় ফের প্রকাশ্যে এল রেল পুলিশের বেমালুম গাফিলতি। শুক্রবার দুপুরে শিলচর-আগরতলা যাত্রীবাহী ট্রেন থেকে গোপন খবরের ভিত্তিতে মাদক চক্রের সদস্য মোহম্মদ সোহাগ (২১),সোনামুড়ার আড়ালিয়া এলাকার বাসিন্দাকে আটক করে গোয়েন্দা দপ্তরের কর্মীরা। সঙ্গে বাজেয়াপ্ত করা হয় ৪০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট,যার কালোবাজারি মূল্য প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা। ধৃতকে ধর্মনগর রেল পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার পরেই ঘটে যায় অবিশ্বাস্য ঘটনা — পুলিশি হেফাজত থেকে কৌশলে চম্পট দেয় অভিযুক্ত! উপস্থিত যাত্রীদের তৎপরতায় মুহূর্তের মধ্যে ফের আটক করা হয় তাকে।
এই ঘটনায় উঠছে একাধিক প্রশ্ন — একজন হাই-প্রোফাইল মাদক কারবারি বা ড্রাগিস্ট যদি পুলিশের সামনেই পালিয়ে যেতে পারে, তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কতটা সুরক্ষিত? কতটুকু সক্রিয় সমাজের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশের ভূমিকা? এনিয়ে বেজায় চটেছেন সাধারণ মানুষ। ঘটনার পর থেকেই শুরু হয়েছে পুলিশি তদন্ত,তবে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হতে চেয়ে যেন নিরুৎসাহ ধর্মনগর জিআরপি থানার অসি সহ দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা। দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকেরা এড়িয়ে যাচ্ছেন স্পষ্টিকরণে। এতে বাড়ছে জল্পনা — তথ্য চাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে নাকি এর পেছনে লুকিয়ে রয়েছে আরও কোনো গভীর ষড়যন্ত্র? যাই হোক,প্রশ্ন একটাই — পুলিশি ব্যবস্থার প্রতি মানুষের বিশ্বাস যদি এইভাবে বারবার ধাক্কা খায়, তবে কে দেবে নিরাপত্তার গ্যারান্টি?? ধর্মনগর রেল পুলিশ এবং মহকুমা পুলিশের পরপর চরম ব্যর্থতা জনসমক্ষে। নির্লজ্জ তাঁর দায় কি নেবে শাসক দল ? প্রশ্ন !