যুব বিচিত্রা প্রতিনিধি, ধর্মনগর,৭ মে : দেশের বিভিন্ন স্থানে সিভিল ডিফেন্স মহড়ার অংশ হিসেবে মঙ্গলবার ধর্মনগরের বিবিআই স্কুল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় একটি সুসমন্বিত ও পরিকল্পিত মহড়া। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে সঠিক ব্যবস্থাপনার দক্ষতা বৃদ্ধি, নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া এবং জরুরি পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দপ্তরের মধ্যে সমন্বয় সাধনই ছিল এই মহড়ার মূল উদ্দেশ্য। এই মহড়ায় উপস্থিত ছিলেন উত্তর জেলার জেলাশাসক শ্রীমতি চান্দনী চন্দ্রান, ধর্মনগরের মহকুমাশাসক সজল দেবনাথ এবং অতিরিক্ত জেলাশাসক বিপ্লব দাস। জেলা ও মহকুমা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর, স্বাস্থ্য বিভাগ, পুলিশ প্রশাসন, দমকল বাহিনী, সিভিল ডিফেন্স কর্মী এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির সদস্যরা সক্রিয়ভাবে এই মহড়ায় অংশ নেন।
মহড়ার সময় জরুরি কালীন পরিস্থিতিতে দ্রুত উদ্ধার অভিযান, আহতদের চিকিৎসা, নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া, অগ্নিনির্বাপন প্রক্রিয়া ইত্যাদির উপর বাস্তব অনুশীলন করা হয়। ব্যবহৃত হয় আধুনিক রেস্কিউ সরঞ্জাম এবং প্রাথমিক চিকিৎসা উপকরণ। জেলাশাসক চান্দনী চন্দ্রান বলেন, “এই ধরনের মহড়া আমাদের প্রস্তুতির মাপকাঠি। শুধুমাত্র প্রশাসন নয়, সাধারণ মানুষকেও দুর্যোগের সময় কী করতে হবে, তা জানিয়ে দেওয়া এই মহড়ার অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।” মহকুমাশাসক সজল দেবনাথ জানান, “বাস্তব পরিস্থিতিতে আমরা কতটা প্রস্তুত, তা নিরূপণ করার জন্য এ ধরনের মহড়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এছাড়াও, এটি জনগণের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।” সাধারণ নাগরিকদের উপস্থিতিও ছিল লক্ষণীয়।


অনেকেই মহড়ার কার্যপ্রণালী পর্যবেক্ষণ করেন ও প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতায় অংশ নেন। এতে করে নাগরিক-প্রশাসন অংশীদারিত্বের এক অনন্য দৃষ্টান্ত গড়ে ওঠে। এই মহড়া প্রশাসনের অংশ হলেও, এর মাধ্যমে একটি স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে—ত্রিপুরা সরকার ও স্থানীয় প্রশাসন যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলায় সর্বদা প্রস্তুত।