চলন্ত রেল থেকে ধাক্কা, গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার, চাঞ্চল্য সৃষ্টি

মানবতা ভূলুন্ঠিত, অস্বস্তিতে সচেতন নাগরিক

যুব বিচিত্রা প্রতিনিধি,ধর্মনগর,২১ এপ্রিল: চলন্ত রেল থেকে এক ব্যক্তিকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে চুড়াইবাড়ি থানা এলাকায়। জানা গেছে, অজ্ঞাত পরিচয় একব্যক্তি চলন্ত ট্রেন থেকে আরেক যাত্রীকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেয়। ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করে আশপাশের মানুষ সঙ্গে সঙ্গে খবর দেন চুড়াইবাড়ি থানার পুলিশ ও প্রেমতলা দমকল বাহিনীকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত ছুটে আসেন চুড়াইবাড়ি থানার পুলিশ ও দমকল কর্মীরা। আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় কদমতলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ সন্দীপ দেব তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়ে রীতিমতো চিকিৎসা শুরু করেন। প্রাথমিকভাবে আহত ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি, এবং জেলা হাসপাতালে রেফার করলেও তার সঙ্গে কেউ যাবে না ভেবে চিকিৎসক নিজেই দায়িত্ব নেন। পরবর্তীতে জ্ঞান ফিরে এলে আহত ব্যক্তি জানান, তার নাম আব্দুল রহিম (৪০), পিতা রজন আলী, বাড়ি আসামের রাতাবাড়ি থানার অন্তর্গত বড়বাড়ি এলাকায়। তিনি আরও জানান, কায়স্থগ্রাম রেলস্টেশন থেকে ট্রেনে উঠেছিলেন বারইগ্রামের উদ্দেশ্যে।

বারইগ্রাম স্টেশনে নামতে না পারায় ঠিক করেন চুড়াইবাড়ি স্টেশনে নামবেন। কিন্তু ট্রেন চুড়াইবাড়ি স্টেশনে ঢোকার মুহূর্তে এক অজ্ঞাত যাত্রী তাকে চলন্ত ট্রেন থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। এই ঘটনার পর সাধারণ যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। চলন্ত ট্রেনে এমন অপরাধমূলক ঘটনা রেল পুলিশের নজরদারির অভাবকেই ইঙ্গিত করছে বলে মত স্থানীয় বাসিন্দাদের। প্রশ্ন উঠেছে রেলের আরপিএফ বা সুরক্ষা কর্মী রা কি তাদের কর্তব্য নিষ্ঠাভরে পালন করছেন? তাহলে এসব ঘটনা কেন? বিভিন্ন সময়ে দেখা যায় রেলের নির্ধারিত সুরক্ষা কর্মী তথা আরপিএফ বাহিনী প্রায় সময় দায়সারা ভাবে থাকতে দেখা যায়।যার ফলস্বরূপ চলন্ত রেলের এমন ঘটনায় যাত্রীদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া র সৃষ্টি হয়েছে। দাবী উঠেছে রেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে।