বাংলায় ২৬ র বিধানসভা কি ধর্মীয় মেরুকরণে কেন্দ্রায়িত?পার হবে কি শাসক-বিরোধীর বৈতরণী! প্রশ্ন বিশ্লেষকদের

তন্ময় ভট্টাচার্য, কলকাতা: হুমকি এবং পাল্টা হুমকিতে সরগরম বাংলার রাজনীতি। ধর্মীয় মেরুকরণেই কি ২৬ র বিধানসভা নির্বাচন পার করতে চাইছে পশ্চিমবঙ্গের তৃনমূল ও বিজেপি নেতৃত্ব ? প্রশ্ন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের!

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যে মুসলিম বিধায়কদের চ্যাংদোলা করে ছুঁড়ে ফেলবো বিধানসভা থেকে পাল্টা শুভেন্দু অধিকারীকে তৃনমূল বিধায়ক হুমায়ূন কবিরের হুমকি “ঠুসে দেবো” দলের আগে ধর্ম, তারপর দল হুমায়ূন কবিরের বিস্ফোরক মন্তব্য ঘিরে গরম বাংলার রাজনীতি।শুভেন্দু অধিকারীকে বেলাগাম আক্রমণ হুমায়ুন কবীরের ! যার জেরে শোকজ করা হয়েছিল ভরতপুরের বিধায়ককে। কিন্তু সেই শোকজের জবাবে খুশি নয় তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। মঙ্গলবার হুমায়ুনকে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কমিটি। হুমায়ুনের জন্য কী শাস্তি অপেক্ষা করছে, তা নিয়ে জোর জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।সম্প্রতি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, ‘মুসলিম বিধায়কদের চ্যাংদোলা করে রাস্তায় ছুড়ে ফেলা হবে।’ বিরোধী দলনেতার এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ফুঁসে ওঠেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক। পালটা তিনি বলেছিলেন, ‘আমাকে মারতে এলে রসগোল্লা খাওয়াব নাকি? ঠুসে দেব। ক্ষমতা থাকলে মুর্শিদাবাদে আসুন, দেখে নেব।’ হুমায়ুনের এই মন্তব্য নিয়ে বেজায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো । তাঁর নির্দেশ মতো শোকজ করা হয় ভরতপুরের বিধায়ককে। জবাব তলব করা হয় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। জবাবে হুমায়ুন জানান, ‘দলের আগে ধর্ম। আমার জাতিকে আক্রমণ করলে আমি ছেড়ে দেব না।’ তাঁর এই মন্তব্যে অসন্তুষ্ট তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি।

এদিন ফের একবার বৈঠকে বসে শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি। বৈঠকের পর শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘সব রাজনৈতিক দলের কিছু মতাদর্শ আছে। হুমায়ূন এমন কিছু বারবার বলছে যা দলের আদর্শের পরিপন্থী। ও যা বলেছে সেটা ওর ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু একজন বিধায়ক হয়ে একথা বলতে পারে না। ও শোকজের জবাবে যা বলেছে তা সন্তোষজনক নয়। ও বলেছে এটা ওর জাতের ব্যাপার। কিন্তু এখানে জাতের কথা আসলে সংবিধানকে অবজ্ঞা করা হয়। হুমায়ূনকে মঙ্গলবার ডেকে পাঠানো হয়েছে। ওকে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সামনে সশরীরে উপস্থিত থাকতে হবে। আমরা ওকে কিছু নির্দেশ দেব। সেগুলো মানতেই হবে।’ এখন দেখার বিষয় পরবর্তীতে ভরতপুরের বিধায়কের জন্য কী শাস্তি অপেক্ষা করছে দলীয় তরফে। মোটকথা পশ্চিমবঙ্গ যে একপ্রকারের সরগরম ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি নিয়ে! তা কি ২৬র বিধানসভায় রক্ষাকবচ এর ভূমিকা নেবে? প্রশ্ন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের!