চিকিৎসালয় না মদের দোকান? সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে দ্বন্দ্ব

ত্রিপুরা র একটি হাসপাতাল কে বাংলা মদের আড্ডায় পরিণত করার দৃশ্যে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন!

যুব বিচিত্রা প্রতিনিধি, আগরতলা,২ ফেব্রুয়ারি: ত্রিপুরা প্রশাসনের ব্যর্থতা না সহযোগিতা এমনটাই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী হলো এবার। সরকারি একটি হাসপাতাল পরিণত বাংলা মদের আসরে। কে যোগায় মদত? নাকি অংশীদার স্থানীয় পুলিশ? প্রশ্ন সচেতন মহলে! নির্লজ্জ ঘটনাটি ঘটেছে ত্রিপুরা রাজ্যের খোয়াই জেলার তেলিয়ামুড়া পুলিশ থানার অধীনস্থ জেলা মহকুমা হাসপাতালে।


নির্লজ্জ বেহায়ার মতো নিজ এলাকায় যখন নিয়ন্ত্রণ হারায় পুলিশের দল, তখন সমাজ ব্যবস্থা যে কতটা তলানিতে গিয়ে ঠেকতে পারে তারই এক জলজ্যান্ত প্রমাণ মিললো আবারও তেলিয়ামুড়ায়। তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশের ব্যর্থতার দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী হওয়ার পর জিলা বা রাজ্য স্তরের প্রশাসন কি নেয় পদক্ষেপ? তাঁর অপেক্ষায় সাধারণ মানুষ! আঙ্গুলটা তো পুলিশের দিকেই উঠবে, কারণ পুলিশের নৈতিক দায়িত্ব নিজ এলাকাকে নেশা মুক্ত রাখা। কিন্তু বর্তমানে তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ তেলিয়ামুড়া থানা এলাকাকে কতটা নেশামুক্ত রাখতে সক্ষম তাঁর প্রমাণ মহকুমা হাসপাতালের বাংলা মদের আসর চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। রোজকার এই দৃশ্য থেকে বিরক্ত হয়ে পরবর্তীতে বাধ্য হয়ে হাসপাতালের বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীরা সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালের বিল্ডিং-এ চলা বাংলা মদের আসরে অভিযান চালালো শুক্রবার। যে কাজ করার কথা পুলিশের সে কাজ করছে এখন বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীরা। তবে স্বভাবতই জনমনে প্রশ্ন ওঠাটাই স্বাভাবিক, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের নেশামুক্ত ত্রিপুরা গঠন করার স্বপ্নটা কি অধরাই রয়ে গেছে? এদিকে শুভবুদ্ধি সম্পন্ন সচেতন মহলের দাবী ইন্সপেক্টর রাজীব দেবনাথের চরম ব্যর্থতা তৎসঙ্গে রয়েছে নেশা কারবারিদের সঙ্গে গোপন বুঝাবুঝি। তাঁর ফলস্বরূপ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবে-র স্বপ্ন নেশামুক্ত রাজ্যের বিপরীতে নেশাযুক্ত রাজ্য গড়তে এমন পুলিশ আধিকারিক গুরুত্বপূর্ণ পদে নিযুক্ত করা হয়েছে নাকি ? এমনটাই জল্পনায় তোলপাড় তেলিয়ামুড়া সহ আশপাশ এলাকা। রাজীব দেব নাথের যোগসাজশে তেলিয়ামুড়া র নবপ্রজন্ম ধ্বংস এর মুখে ঠেলে দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে, তাই এই নির্লজ্জ্ব কাণ্ডে মাথা নিচু করে এধরণের আধিকারিককে স্ব – ইচ্ছায় নিজের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেওয়ার আহ্বান জানান সচেতন নাগরিক।