প্রজাপিতা ব্রহ্মাকুমারী ঈশ্বরীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে রাখি বন্ধনে সাংবাদিকরা

রমেন্দ্রগোস্বামী,ধর্মনগর ০৮ আগস্ট: রাখি পূর্ণিমা — ভ্রাতৃত্ব ও বোনত্বের প্রতীক এই পবিত্র দিনে ধর্মনগরের প্রজাপিতা ব্রহ্মাকুমারী ঈশ্বরীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখায় প্রতি বছরের মতো এক ব্যতিক্রমী এবং আবেগঘন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এবারও। এই দিনে ধর্মনগর মহকুমার নর্থ ডিস্ট্রিক্ট প্রেস ক্লাব এবং ধর্মনগর প্রেস ক্লাবের সমস্ত সাংবাদিক ভাই ও বোনদের রাখি পড়িয়ে সকলের প্রতি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন শাখার সঞ্চালিকা বি কে মামনি। অনুষ্ঠানটির সূচনা হয় শান্ত পরিবেশে পরমআত্মার স্মরণে সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে। এরপর একে একে সকল সাংবাদিকদের হাতে রাখি পরিয়ে দেন বি কে মামনি, যিনি দীর্ঘদিন ধরে আধ্যাত্মিকতা ও সমাজসেবার কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। রাখি পরানোর সময় সাংবাদিকদের চোখেমুখে যেমন আনন্দ, তেমনি ছিল আবেগের ছোঁয়া। এই রাখি শুধুমাত্র একটুকরো রঙিন সুতার বাঁধন নয়, এটি ছিল একজন আধ্যাত্মিক নেত্রী কর্তৃক সমাজের এক গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ — সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের প্রতি সম্মান জ্ঞাপনের প্রতীক।বি কে মামনি রাখি পরানোর পর উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন, তিনি বলেন,”রাখি হলো ভালোবাসা, দায়িত্ববোধ, আত্মিক বন্ধন এবং সুরক্ষার প্রতীক। আজ এই পূণ্য লগ্নে সাংবাদিক ভাই ও বোনদের হাতে রাখি পরিয়ে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। সাংবাদিকরা সমাজের দিশারী, সত্যের পথপ্রদর্শক। প্রতিকূল পরিবেশে থেকেও আপনারা নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন মানুষের স্বার্থে, সমাজের কল্যাণে। আজকের এই ছোট্ট উদ্যোগ তাঁদের প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা ও সমর্থনের প্রতিফলন।” তিনি আরও বলেন, “এই বন্ধনের মাধ্যমে আমরা চাই সকলে মানবিকতা, শান্তি ও ইতিবাচক শক্তির বার্তা ছড়িয়ে দিক। কারণ সাংবাদিকরা কেবল তথ্য সরবরাহকারী নন, তাঁরা সমাজের নৈতিক মেরুদণ্ড।” অনুষ্ঠানে উপস্থিত সাংবাদিকরা এই ব্যতিক্রমী সম্মাননায় গভীরভাবে আপ্লুত হন। অনেকেই বলেন, পেশাগত জীবনে এমন মানবিক সম্মান তাঁরা খুব কমই পেয়ে থাকেন। সাংবাদিক পার্থসারথি দাস বলেন, “এটি শুধু একটি রাখি অনুষ্ঠান নয়, এটি আমাদের পেশার প্রতি সমাজের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন। আমরা সত্যিই কৃতজ্ঞ এই ভালোবাসার বন্ধনের জন্য।”অনুষ্ঠানের শেষে অতিথিদের জন্য প্রসাদ পরিবেশন করা হয়। প্রজাপিতা ব্রহ্মাকুমারী ঈশ্বরীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভবিষ্যতেও এমন মানবিক এবং নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া হবে।রাখি পূর্ণিমার এই দিনটি ধর্মনগরের সাংবাদিক সমাজের কাছে হয়ে রইল এক অনন্য অভিজ্ঞতা — যেখানে সংবাদ আর সাধনার মধ্যে গড়ে উঠলো এক অনির্বচনীয় আত্মিক সম্পর্ক।