কোভিডের পর কম বয়সেই বুড়িয়ে যাচ্ছে শিরা-ধমনী,তাই এত হার্টঅ্যাটাক-স্ট্রোক! মেয়েরাই আক্রান্ত বেশি, বললেন গবেষক!

স্বাস্থ্য বিচিত্রা, ২৭ আগস্ট :- ওই গবেষণার জন্য দুনিয়াজুড়ে মোট ২৫০০ জনকে পরীক্ষা করা হয়েছিল। খোঁজ নিয়ে দেখা হয়েছে তাদের করোনা হয়েছিল কিনা বা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন কিনা।

করোনা ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে এমন কথা বহুবার উঠেছে। ফলে অনেকে ভ্যাকসিনে সর্বনাশের ভূত দেখছেন। এবার নতুন তথ্য দিল এক গবেষণা। বলা হচ্ছে করোনার ফলে শিরা বা ধমনীর প্রবল ক্ষতি হতে পারে। এর ফলে ৫ বছরের মধ্যে কারও স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকও হতে পারে। সম্প্রতি একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে ইউরোপিয়ান হার্ট জার্নাল-এ। সেখানে বলা হয়েছে করোনা সংক্রমণের ফলে বুড়িয়ে যেতে পারে আমাদের শিরা-ধমনী। বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে এটা বেশি হচ্ছে। যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে এটা কম হচ্ছে। যারা ভ্যাকসিন নেননি তাদের থেকে যারা টিকা নিয়েছেন তাদের শিরা-ধমনী ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ওই গবেষণার প্রধান ও ইউনিভার্সিটি অব প্যারিস সাইট-র বিশেষজ্ঞ রোজা মারিয়া বার্নো সংবাদমাধ্যমে বলেন, কোভিড সরাসরি শিরা-ধমনীর ক্ষতি করতে পারে। আমাদের মনে হয়েছে কোভিড রক্তবাহী শিরা-ধমনীর তাড়াতাড়ি বুড়িয়ে যাওয়া তরান্বিত করে। অর্থাৎ যতদিনে আপনার ব্লাড ভেসেল বুড়িয়ে যাওয়ার কথা তার আগেই এক্ষেত্রে তা হয়ে যায়। ফলে ডেকে আনে বেশকিছু হার্টের অসুখ। রোজা মারিয়া আরও বলেন, করোনা যদি এমনটাই ক্ষতি করে থাকে তাহলে আমাদের দেখতে হবে কাদের হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক হতে পারে। উল্লেখ্য, ওই গবেষণার জন্য দুনিয়াজুড়ে মোট ২৫০০ জনকে পরীক্ষা করা হয়েছিল। খোঁজ নিয়ে দেখা হয়েছে তাদের করোনা হয়েছিল কিনা বা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন কিনা। এদের করোনা হওয়ার ৬ মাস পরে ও ১২ মাস পরে পরীক্ষা করা হয়েছিল। এক্ষেত্রে তাদের ভাসকুলার এজ পরীক্ষা করে দেখা হয়। দেখার চেষ্টা হয় কত দ্রুত তাদের ঘাড় ও পায়ের ধমনী দিয়ে রক্ত প্রবহিত হয়। ওই পরীক্ষায় দেখা যায় যাদের কোভিড হয়েছিল তাদের ধমনী যাদের কোভিড হয়নি তার থেকে অনেক বেশি শক্ত। মহিলাদের ক্ষেত্রে যাদের কোভিড হয়েছিল তাদের ধমনীতে রক্ত প্রবাহিত হয় ০.৫৫ মিটার প্রতি সেকেন্ড। যাদের হাসপাতালে ভর্তি করতে এসেছিল তাদের ধমনীতে রক্ত প্রবাহিত হয় ০.৬০ মিটার প্রতি সেকেন্ডে। আর যারা আইইউতে ছিলেন তাদের রক্ত প্রবাহিত হয় ১.০৯ মিটার প্রতি সেকেন্ডে। পুরুষদের ক্ষেত্রে এই প্রবাহের গতি অনেকটাই বেশি।