সংবাদ সংস্থা, ০৬ আগস্ট :- ঢেঁড়সের জল কোনও ম্যাজিক পানীয় না হলেও, এটি নিঃসন্দেহে একটি সহজ, সস্তা ও কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকার। নিয়মিত পান করলে শরীরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ উপকৃত হতে পারে। তাই ওষুধের পাশাপাশি এমন প্রাকৃতিক উপায়ে স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ঢেঁড়স, আমাদের রোজকার রান্নায় ব্যবহৃত একটি পরিচিত সবজি। কিন্তু আপনি কি জানেন, শুধু রান্না নয় — এই সবজির জলও হতে পারে শরীরের জন্য এক অসাধারণ ওষুধের মতো গুণাবলী। সম্প্রতি এক প্রখ্যাত কার্ডিওলজিস্ট জানিয়েছেন, ঢেঁড়স জল শরীরের বহু সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে, বিশেষ করে হৃদযন্ত্র, রক্তচাপ এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক হয়।
১) রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণে সহায়ক- ঢেঁড়সে রয়েছে উচ্চ মাত্রার ফাইবার, যা রক্তে গ্লুকোজ শোষণের হার কমায়। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি বিশেষ উপকারী।
২) হৃদযন্ত্রের উন্নতি ঘটায় – ঢেঁড়সে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবার কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি, ঢেঁড়সে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি (প্রদাহনাশক) উপাদান, যা হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি রক্তনালির ক্ষতি কমাতে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।
৩) রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে – পটাশিয়াম সমৃদ্ধ ভেন্ডি জল রক্তনালিকে শিথিল করে ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৪) হজমে সহায়তা করে – ঢেঁড়সের আঁশ পাচনতন্ত্রের জন্য ভালো। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ও পরিপাকক্রিয়া ঠিক রাখে।
৫) ত্বক ও চুলের জন্য ভালো – ঢেঁড়সের জলে থাকা ভিটামিন A, C ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং চুলের স্বাস্থ্য রক্ষা করে।
৬) পাকস্থলীর আস্তরণ রক্ষা করে – ড. চোপড়া জানিয়েছেন, “ঢেঁড়স পাকস্থলীর আস্তরণকে সুরক্ষা দেয়, যা পেপটিক আলসার বা পেটের ঘা নিরাময়ে সহায়ক”। এর মিউসিলাজ নামক জেলি-মতো উপাদান পাকস্থলীর গাত্রে সুরক্ষার স্তর তৈরি করে, ফলে অ্যাসিডের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
ঘরোয়া প্রতিষেধক আগেকার দিনে একমাত্র উপায় ছিল, ছিল না আজকালকার মতো স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র বা হাসপাতাল বলে কিছু। তাই পুরোনো ইতিহাস না ভুলে চলাই একমাত্র নিরাময় থাকার উপায় বললেন বিশেষজ্ঞরা।