নব দম্পতির অকাল মৃত্যুতে কসবেশ্বরী মা যেন কলঙ্কিত হয়েছে! পূজার্চনা সেড়ে সেটাই কি দুজনের অন্তিম যাত্রার সময় ছিল?
যুব বিচিত্রা প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৭ আগস্ট :- মা আমার তিন দিনের অফিস বন্ধ আছে চলো তোমাদেরকে নিয়ে কসবেশ্বরী মায়ের মন্দিরে পুজো দিতে যাই। ছেলের সেই আবদার পূরণ করতে রবিবার দুপুরে কমলাসাগর কসবেশ্বরী মায়ের মন্দিরে দিবাকর ঘোষ তার স্ত্রী প্রিয়াংকা ঘোষ সহ দিবাকর ঘোষের মা বাবা ও মাসি সবাইকে
নিয়েই ছিল পূজার্চনা করার মুহুর্ত। কসবেশ্বরী মায়ের মন্দিরে পূজো দিয়ে মাকে ছেলে দিবাকর ঘোষ, মা বাবা মাসি তোমরা অন্য গাড়ি করে বাড়ি চলে যাও এবং আমি প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে বিশালগড় নৌকা ঘাট ঘুরে বাড়ি আসছি বলেই
দিবাকর তাঁর মতো করে স্ত্রী কে নিয়ে রওয়ানা দেয় ঘুরতে। TR.01.AW-9205 নাম্বারের স্কুটি নিয়ে কসবেশ্বরী মায়ের
মন্দির থেকে সিপাহী জলা নৌকা ঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় দিবাকর আর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা। পেছন অন্য গাড়ি করে দিবাকর ঘোষের মা বাবা মাসি আসছেন। হঠাৎ দেখতে পান দিবাকরের বাবা গোকুলনগর টিএসআর ক্যাম্পের পাশে প্রচন্ড লোকজন , রাস্তায় ভিড় জমে আছে। গাড়ি থেকে নেমে দেখতে পায় ছেলে দিবাকর ঘোষ পুত্রবধূ
প্রিয়াংকা ঘোষ রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে আছেন। দুর্ঘটনার সাথে সাথে TSR ক্যাম্পের জওয়ানরা গাড়ি করে দিবাকর ঘোষ কে দ্রুত হাঁপানিয়া হাসপাতালে নিয়ে যায় অন্যদিকে প্রিয়াঙ্কা ঘোষ কে বিশালগড় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসার পর চিকিৎসক প্রিয়াঙ্কা ঘোষকে মৃত বলে ঘোষণা করে
অন্যদিকে হাঁপানিয়া হাসপাতালে দিবাকর ঘোষকেও মৃত বলে ঘোষণা করে। এইভাবে কসবেশ্বরী মায়ের মন্দিরে পূজো দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে একসাথে নব দম্পতির মৃত্যু যেন কলঙ্কিত অধ্যায় রচনা করলো কসবেশ্বরী মা। এদিকে খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসে বিশালগড় থানা পুলিশ। নবদম্পতির মৃতদেহ উল্লেখিত হাসপাতালের
মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আগামীকাল ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহ তুলে দেবে পরিবারের হাতে। জানা যায় মাত্র কয়েকমাস হয়েছে তাদের বিয়ের। ফটিক ঘোষের একমাত্র ছেলে দিবাকর ঘোষ, অন্যদিকে প্রিয়াঙ্কা ঘোষ ছিল তার পরিবারের একমাত্র কন্যা। দিবাকর ঘোষ বিলোনিয়া ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মচারী বলে জানা
যায়। ঘোষ পরিবারের নবদম্পতির অকাল মৃত্যুতে ঘোটা এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া।