যুব বিচিত্রা প্রতিনিধি, ধর্মনগর ৩১জুলাই :- ২০২৪ সালের অক্টোবরে উত্তর ত্রিপুরার কদমতলা বাজারে ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক হিংসাত্মক ঘটনার বিচার এবং ক্ষতিগ্রস্ত দের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবিতে উত্তর জেলার জেলা শাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন ইন্ডিয়া লইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন ফর জাস্টিস (AILAJ)-এর ত্রিপুরা ইউনিট। উত্তর জেলার জেলা শাসক ও পুলিশ সুপারের উদ্দেশ্যে প্রদান এই স্মারকলিপিতে AILAJ অভিযোগ করেছে, কদমতলায় দোকানঘর ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট এবং সাম্প্রদায়িক হামলার পর এক বছর কেটে গেলেও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। নিহত ব্যবসায়ী আশফাক আলমের পরিবারও এখনও বিচার থেকে বঞ্চিত।স্মারকলিপিতে মোট ৬ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ১) হিংসাত্মক ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সকল ব্যবসায়ীদের ক্ষয়ক্ষতির নিরপেক্ষ তদন্ত করে ন্যায্য আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন। ২) সাম্প্রদায়িক হামলার পেছনে দায়ী দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা ও বিচার। ৩)নিহত আশফাক আলমের পরিবারকে সরকারি চাকরি ও আর্থিক সহায়তা। ৪) আহতদের চিকিৎসা ও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ।
৫) কদমতলা বাজার পুনর্গঠন ও নিরাপত্তা জোরদার করা। ৬)দ্রুত বিচার ও তদন্তের জন্য বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন ইত্যাদি। AILAJ-এর পক্ষ থেকে আইনজীবী খোকন মিঞা ও মৃন্ময় দে স্বাক্ষরিত এই স্মারকলিপিতে প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও তোলা হয়েছে। সংগঠনের দাবি, প্রশাসনের ব্যর্থতায় আজও বহু ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার দারিদ্র্য ও অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৩ ও ৭ অক্টোবর কদমতলা বাজারে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার জেরে একাধিক দোকানপাটে হামলা চালানো হয়। ঘটনার প্রতিবাদে সে বছর নভেম্বর মাসে ‘ত্রিপুরা ন্যায় ও সংহতি যাত্রা’ দল ঘটনাস্থলে গিয়ে বাস্তব পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে। সংগঠনের তরফে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবে তারা।
কদমতলার হিংসাত্মক ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে AILAJ-এর স্মারকলিপি জেলা শাসকের নিকট
