রমেন্দ্র গোস্বামী, ধর্মনগর ২৯ জুলাই :- এনডিপিএস আইনে দায়ের হওয়া এক গুরুত্বপূর্ণ মামলায় ধর্মনগর মহকুমার বিশেষ বিচারক অংশুমান দেববর্মা দুই ব্যক্তিকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১ লক্ষ টাকা করে জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন। জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের অতিরিক্ত কারাবাসও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত দুইজন হলেন রেলসি হালাম (২৮) ও থাংলামণি হালাম (৩৭), যাদের বাড়ি বাগবাসা থানার অন্তর্গত নোয়াগাং এলাকায়। ২০২৪ সালের ২৮ জুন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ধর্মনগর মহকুমা পুলিশ অফিসার দেবাশীষ সাহা এবং ডিসিএম করজোরাম রিয়াং একটি বিশেষ অভিযানে নামেন। সন্ধ্যা আটটা নাগাদ ধর্মনগরের কামেশ্বর রাধারমণ আশ্রমের সামনে ওঁত পেতে থাকা পুলিশ নম্বরবিহীন একটি কালো স্কুটিতে করে আগত দুই ব্যক্তিকে আটক করে। পরে স্কুটি ও ব্যক্তিদের তল্লাশি চালিয়ে ১৪টি প্যাকেটে মোট ১৭,১৫০ টি ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।ঘটনার পর ধর্মনগর থানার এসআই সাহা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এনডিপিএস আইনের ২১(সি)/২৫/২৯ ধারায় মামলা (নং ৫৮/২৪) রুজু করেন। মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় ধর্মনগর থানার ওসি, সাব-ইন্সপেক্টর শুভদীপ দেবের উপর। তদন্তে বাগবাসা এলাকার আরও এক ব্যক্তি, রাধা মানিক হালামের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়। তিনজনের বিরুদ্ধেই চার্জশিট প্রস্তুত করে ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে আদালতে জমা দেন তদন্তকারী অফিসার। মামলার শুনানিতে মোট ১২ জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয় এবং ২৫ জুলাই ২০২৫ তারিখে আর্গুমেন্ট শেষে বিচারক অংশুমান দেববর্মা আজ ২৯ জুলাই রায় ঘোষণা করেন। অভিযুক্ত রেলসি হালাম ও থাংলামণি হালামকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত উল্লেখযোগ্য দণ্ড প্রদান করেন। তবে যথাযথ প্রমাণের অভাবে রাধা মানিক হালামকে আদালত বেকসুর খালাস দেন। সরকারি পক্ষের হয়ে মামলা পরিচালনা করেন স্পেশাল পিপি পার্থ পাল। আদালতের এমন রায়ে এলাকায় স্বস্তি!নেশা কারবারীদের ভয় ঢুকলেই সার্থক বললেন একাংশই।
ধর্মনগর আদালতে বিশেষ বিচারকের নির্দেশে দুই ব্যক্তির ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড
