পরপর বিমান দুর্ঘটনার খবরে আতঙ্ক বিশ্বব্যাপী, বিমান দুর্ঘটনায় ২০২৫ নাকি কালো অধ্যায় রচনার পথে ?

সংবাদ সংস্থা, ২৫ জুলাই :- রাশিয়ার পূর্ব সীমান্তে অবস্থিত আমুর অঞ্চলে এটিসি-র সঙ্গে যোগাযোগ হারায় বিমানটি। ঘন বনের মধ্যে দিয়ে কালো ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। প্রাথমিক রিপোর্টে ক্রুদের ভুলের দিকে ইঙ্গিত!

ফের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা (Russian Plane Crash)। রাশিয়ার সুদূর পূর্ব প্রান্তে ভেঙে পড়েছে রুশ যাত্রীবাহী বিমান (Russian passenger plane crash)। রাশিয়ার ব্লাগোভেশচেনস্ক থেকে চিন সীমান্তে অবস্থিত টিন্ডা শহরে যাচ্ছিল আংগারা এয়ারলাইনসের আন্তোনভ An-24 বিমানটি। ডোমেস্টিক ফ্লাইট ছিল। মোট যাত্রাপথ ছিল ৫৭০ কিলোমিটারের। গন্তব্যের খুব কাছাকাছি, মাত্র কয়েক কিলোমিটার বাকি থাকতে, আচমকাই মাঝ-আকাশ থেকে ‘উধাও’ হয়ে যায় বিমানটি (Antonov An-24 crash)! রাশিয়ার পূর্ব সীমান্তে অবস্থিত আমুর অঞ্চলে এটিসি-র সঙ্গে যোগাযোগ হারায় বিমানটি। বিমানটি নিখোঁজ হতেই শুরু হয় তল্লাশি। শেষে কয়েক ঘণ্টা তল্লাশির আমুর অঞ্চলেই পাওয়া যায় বিমানটির জ্বলন্ত ধ্বংসাবশেষ। ঘন বনের মধ্যে দিয়ে কালো ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। এলাকাটি প্রত্যন্ত ও দুর্গম হওয়ায় উদ্ধারকারী দলের পৌঁছতে বেশ বেগ পেতে হয়। জানা গিয়েছে, বিমানে ছিলেন ৫০ জন। তারমধ্যে ৪৩ জন যাত্রী। যারমধ্যে ৫ জন শিশু। আর ৬ জন ক্রু সদস্য ছিলেন। বিমান দুর্ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন সবাই। কেউ-ই আর বেঁচে নেই। অধিকাংশ পুঁড়ে ছাই!

কী কারণে বিমান দুর্ঘটনাটি ঘটে ?
প্রাথমিক রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, বিমানটি অবতরণের জন্য তার ল্যান্ডিং প্রক্রিয়া শুরু করেছিল। কিন্তু খারাপ দৃশ্যমানতার কারণে ক্রুদের দিক থেকে সিদ্ধান্ত নিতে সম্ভবত কোনও ভুল হয়ে যায়। যে কারণে আন্তোনভ An-24 বিমানটি টিন্ডা বিমানবন্দরের কাছে পৌঁছানোর সময় নির্ধারিত নিয়ন্ত্রণ বিন্দুতে চেক-ইন করতে ব্যর্থ হয়। আর তারপরই রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ভেঙে পড়ে গভীর জঙ্গলে।

সোভিয়েত রাশিয়ার বিমান!

আন্তোনভ An-24 হল একটি টুইন টার্বোপ্রপ বিমান। ১৯৫০-এর দশকের শেষের দিকে সোভিয়েত ইউনিয়নে এই বিমান তৈরি করা হয়। এটি রাশিয়া জুড়ে প্রত্যন্ত ও দুর্গম অঞ্চলে নিয়মিত অভ্যন্তরীণ পরিষেবা প্রদান করে।মূলত আঞ্চলিক রুটেই এই উড়ান চলে।

মোট কথা বিমান দুর্ঘটনার খবরে ২০২৫ কি সত্যিই কালো অধ্যায় রচনার পথে? রাত পোহালেই যেন আকাশে উড়ন্ত বিমানে অগ্নিকাণ্ড,তো ভেঙে চূর্ণবিচূর্ণ,কখনো কখনো বিমান দুর্ঘটনার এমন কালান্তর রূপে আতঙ্ক বিরাজ করছে সারা বিশ্বব্যাপী।